১. নিজেকে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করুন

‘ওভার এক্সপ্লেইনিং’ করে আপনি মানুষকে আপনার অবস্থান বা উদ্দেশ্য বোঝাতে পারবেন না। বরং কর্মের ভেতর দিয়ে কথা বলুন। প্রয়োজনীয় কথা বলুন। যে যত কম কথা বলে, মানুষ তার কথা তত গুরুত্ব দিয়ে শোনে।

২. আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আপনি যখন প্রতিনিয়ত নিজের হতাশা, রাগ, দুঃখ ইত্যাদি প্রকাশ করতে থাকেন, তখন আপনাকে ‘পড়ে ফেলা’ সহজ হয়। আর যাঁদের পড়ে ফেলা কঠিন, যাঁরা রহস্যময়, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ, তাঁরাই অধিক সম্মানিত হন। ফলে কথা বলে রাগ উগরে না দিয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।

৩.

অন্যের সমর্থন খুঁজতে যাবেন না

যাঁরা দুর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ, তাঁরাই প্রতিনিয়ত অন্যের সায়, অনুমোদন, সমর্থন খোঁজেন। আত্মবিশ্বাস কম থাকলে তাঁরা আশপাশে ‘ইয়েস ম্যান’দের রাখেন। এটা আত্মবিশ্বাসের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।

৪. দেয়াল তুলে দিন

নিজেকে সহজলভ্য করে তুলবেন না। আপনার ব্যক্তিত্বের দেয়াল এমন হতে হবে, সবাই যেন সেটা বেয়ে আপনার পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারেন। নিজের মানসিক শান্তি রক্ষার জন্যও দেয়াল তোলার কোনো বিকল্প নেই। ‘না’ বলার অভ্যাস রাখুন।

যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে মোকাবিলা করার কোনো বিকল্প নেই

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উড়োজাহাজে কাঁটাচামচ দিয়ে দুই কিশোরকে আঘাত, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

শিকাগো থেকে জার্মানিগামী লুফথানসার একটি ফ্লাইটে দুই কিশোরকে ধাতব কাঁটাচামচ দিয়ে আঘাত এবং এক নারী যাত্রীকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এক ভারতীয় নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম প্রণীত কুমার উসিরিপল্লি। ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদালতের নথি অনুসারে, প্রণীত প্রথমে ১৭ বছর বয়সী এক যাত্রীর কাঁধে ধাতব কাঁটাচামচ দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তিনি ১৭ বছর বয়সী আরেক কিশোরের ওপর হামলা চালান এবং একই কাঁটাচামচ দিয়ে তাঁর মাথার পেছনে আঘাত করেন।

প্রণীতের হামলার প্রথম শিকার কিশোর মাঝখানের আসনে ঘুমিয়ে ছিল। জেগে উঠে সে দেখে, ২৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত প্রণীত তাঁর ওপর ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি বাঁ কলারবোনের কাছে কাঁটাচামচ দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় কিশোরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর কাঁটাচামচের আঘাতে তাঁর মাথার পেছনে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

পরিস্থিতি দেখে উড়োজাহাজের কর্মীরা প্রণীতকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি হাতে পিস্তল আছে, এমনভাবে তাঁর আঙুল তাক করেন। পরে সেই কাল্পনিক পিস্তল মুখে পুরে ট্রিগার টানার ভঙ্গি করেন। এরপর তিনি একজন নারী যাত্রীর দিকে ফিরে তাঁকে থাপ্পড় মারেন। তিনি একজন বিমানকর্মীকেও থাপ্পড় মারার চেষ্টা করেন।

প্রণীতের বেপরোয়া হামলার পর উড়োজাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে উড়োজাহাজ অবতরণ করা হলে সেখানেই প্রণীতকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ‘আইনসম্মত অবস্থান’ নেই। তিনি শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

প্রণীতের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে বিশেষ উড়োজাহাজে ভ্রমণ করার সময় অন্যকে শারীরিক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দোষী সাব্যস্ত হলে প্রণীতের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৩ বছর পর্যন্ত শর্তাধীনে মুক্তি ও আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

অ্যাটর্নি অফিসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রণীত বাইবেল শিক্ষার ওপর একটি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ