জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫-এর ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পাঁচ সদস্যদের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান। নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক। তাঁরা হলেন—আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.

শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জুলফিকার মাহমুদ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান ইসলাম।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে ২৭ অক্টোবর জকসুর সংবিধি চূড়ান্ত হয়।

জকসুর উদ্দেশ্য হিসেবে সংবিধিতে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ জাতীয় আন্দোলনের চেতনা ধারণ, প্রচার, সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও মুক্তচিন্তার প্রসারের কথা বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভোটার তালিকা প্রকাশ, সংশোধন, মনোনয়নপত্র জমা ও যাচাইসহ সব ধাপ শেষে আগামী ২৭ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে।

গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় জকসুর খসড়া সংবিধি গৃহীত হয়। সংবিধি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়মিত শিক্ষার্থী জকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন। তবে প্রফেশনাল কোর্সে অধ্যয়নরত, বিশেষ ডিগ্রিধারী বা অন্য প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা জকসুর আওতাভুক্ত হবেন না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জকস র

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তিরক্ষা মিশনে ৬ বাংলাদেশি সেনা নিহত: তারেক রহমানের শোক

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আট জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিন জন নারী সেনাসদস্য রয়েছেন।

এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ শোক জানান।

তারেক রহমান লেখেন, “সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।”

তিনি আরো লেখেন, “জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাঁদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, “এই কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো সংশ্লিষ্ট সবার নৈতিক দায়িত্ব।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ধরনের হামলায় শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত ও আহত বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের এই আত্মত্যাগ দেশ ও জাতির জন্য গর্বের পাশাপাশি বেদনারও।

ঢাকা/আলী/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ