১৭ বছরের আকাঙ্ক্ষার ফসল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অনুমোদন করেছেন। এটা নিয়ে উচ্ছ্বাসিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তবে নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনটি কবে হবে ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা। তাছাড়াও নির্বাচন হলেও পদ সংখ্যা এত কম কেন সবগুলো বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছে রাইজিংবিডি। কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

ইলিয়াস প্রামাণিক।

আরো পড়ুন:

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

শনিবারের মধ্যে বেরোবি ছাত্র সংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের দাবির ফসল বেরোবি ছাত্র সংসদ নিয়ে তিনি বলেন, “‎আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ ছিল না। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্তীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য একটি কমিটি করে দেন। অনেক প্রক্রিয়ার ফলে আমরা ২৯ অক্টোবর অনুমোদন পাই। এখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচন করার পালা।”

তিনি ছাত্র সংসদে পদ সংখ্যা কম থাকার বিষয়ে বলেন, “‎ছাত্র সংসদ কত বড় হবে সেক্ষেত্রে দেখতে হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার। এদের মধ্যেই নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৪০ হাজারের বেশি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যে ছাত্র সংসদ হবে তা আমাদের জন্য সাফিসিয়েন্ট।”

তিনি আরো বলেন, “হল সংসদে সংসদে আমাদের অবাসিক হলে ২৫০ জন  শিক্ষার্থী থাকে। তদের জন্য বড় ছাত্র সংসদ দরকার নেই। ২৫০ শিক্ষার্থীর যে পরিমাণ প্রতিনিধিত্ব করা দরকার, মেরিট বিশ্লেষণ করে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা নির্ধারণ করেছে।” 

নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে অধ্যাপক ড. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, “‎নির্বাচনে আমাদের একটা প্রস্তুতি ব্যাপার আছে, শিক্ষার্থীদেরও আছে। আমাদের নির্বাচন নিশ্চিত ছিল না, যা হোক আমরা এটার অনুমোদন পেয়েছি। এতে উভয় পক্ষের উপস্থিতির দরকার আছে। উপাচার্য স্যার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বছরের মধ্যে নির্বাচন।”

নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকার বিষয়ে অধ্যাপক ড. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, “‎ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭৩ অধ্যাদেশ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তা নিষেধ আছে, কোনো শিক্ষক রাজনীতি করতে পারবে না। আমাদের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দেওয়ার চেষ্টা করব।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা জিতবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, “‎ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করব খুব আনন্দের বিষয়। সামনে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, এতে কেউ হারবে না; আমরা সবাই জিতব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় জিতবে। আমরা একটি ইনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চাই। সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারি, এজন্য কাজ করছি।”

‎এর আগে, শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন, আইন প্রণয়ন ও রোডম্যাপ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন, সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন করেছে।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া ১১১ অস্ত্র উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় জেলার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ১১১টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি ৪০টি অস্ত্র ও প্রায় ৭ হাজার ৫১৮ রাউন্ড গুলির এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বাকি অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে জেলা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এ সময় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) তারেক আল মেহেদী বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পুরস্কার ঘোষণাও দিয়েছি।

নির্বাচনের আগেই যেন বাকি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়, সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগসহ সবাই সচেষ্ট রয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়।

আন্দোলনকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করা কিছু দুর্বৃত্ত জেলা পুলিশ লাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আড়াইহাজার থানা, গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।

সে সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন অস্ত্রাগার ভেঙে দুর্বৃত্তরা ১৫১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ৯ হাজার ২৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।

লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল সাত ধরনের বিভিন্ন বোরের অস্ত্র, চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি (সাব মেশিনগান), এলএমজি (লাইট মেশিনগান), পিস্তল, শটগান ও রাইফেলসহ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।

শুধু জেলা পুলিশ লাইন থেকেই লুট করা হয় ৭৮টি অস্ত্র ও প্রায় ৫ হাজার রাউন্ড গুলি। এসব অস্ত্রের অনেকগুলো কার্যকর অবস্থায় ছিল এবং কিছু অস্ত্র তৎকালীন সময়ে মামলা তদন্ত বা বিশেষ অভিযানে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ