কুকসু খসড়া গঠনতন্ত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
Published: 29th, October 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (কুকসু) এর গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি এবং হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। এছাড়া, প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আটাশ (২৮) বছর। পাশাপাশি, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
গুচ্ছে ফিরতে কুবি প্রশাসনকে ইউজিসির চিঠি
কুবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ রয়েছে ২১টি এবং এর মধ্যে সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া বাকি ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনি পদগুলো হলো– সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র-বিষয়ক সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার-বিষয়ক সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, পরিবহণ সম্পাদক, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক (ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত), পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।
সংরক্ষিত দুটি পদের মধ্যে পদাধিকার বলে সভাপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
এছাড়া, হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১১টি। পদগুলো হলো– সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, পাঠাগার সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং দুইজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
এর মধ্যে নয়টি পদে নির্বাচন হবে এবং বাকি দুইটি পদের মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সভাপতি হবেন এবং আবাসিক শিক্ষক বা হাউজ টিউটদের থেকে একজন কোষাধ্যক্ষ হবেন।
কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদে প্রার্থিতার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা ততোধিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে গণ্য হবে না। শিক্ষার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২৮ বৎসর রাখা হয়েছে। প্রার্থীতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, অথবা কোনো পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, অথবা এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্সসমূহ, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ, ভাষা কোর্সসহ, এ ধরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বা শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এ বিষয়ে কুকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড.
উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ কার্যদিবস পর্যন্ত নিম্নোক্ত এই ([email protected]) ইমেইলে ঠিকানায় গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মতামত জানাতে পারবেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গঠনতন ত র প রক শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া ১১১ অস্ত্র উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় জেলার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ১১১টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি ৪০টি অস্ত্র ও প্রায় ৭ হাজার ৫১৮ রাউন্ড গুলির এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাকি অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে জেলা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) তারেক আল মেহেদী বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পুরস্কার ঘোষণাও দিয়েছি।
নির্বাচনের আগেই যেন বাকি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়, সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগসহ সবাই সচেষ্ট রয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়।
আন্দোলনকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করা কিছু দুর্বৃত্ত জেলা পুলিশ লাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আড়াইহাজার থানা, গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
সে সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন অস্ত্রাগার ভেঙে দুর্বৃত্তরা ১৫১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ৯ হাজার ২৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল সাত ধরনের বিভিন্ন বোরের অস্ত্র, চাইনিজ রাইফেল, এসএমজি (সাব মেশিনগান), এলএমজি (লাইট মেশিনগান), পিস্তল, শটগান ও রাইফেলসহ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।
শুধু জেলা পুলিশ লাইন থেকেই লুট করা হয় ৭৮টি অস্ত্র ও প্রায় ৫ হাজার রাউন্ড গুলি। এসব অস্ত্রের অনেকগুলো কার্যকর অবস্থায় ছিল এবং কিছু অস্ত্র তৎকালীন সময়ে মামলা তদন্ত বা বিশেষ অভিযানে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল।