লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন- মোহাম্মদ সালাহকে বেঞ্চে রাখা মানে মোটেও তার গুরুত্ব কমে যাওয়া নয়। বরং তার ভাষায়, ‘সালাহ এখনও এই ক্লাবের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, ভবিষ্যতেও থাকবে।”

রবিবার (৩০ নভেম্বর) প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামকে হারানোর ম্যাচে প্রথমবারের মতো স্লটের অধীনে বেঞ্চে বসতে হয় সালাহকে। তবু আলেকজান্ডার ইসাক ও কোডি গাকপোর দারুণ গোল লিভারপুলকে এনে দেয় প্রত্যাশিত জয়।

আরো পড়ুন:

সালাহর ঐতিহাসিক সাফল্য: রেকর্ড তৃতীয়বার হলেন ‘পিএফএ’ বর্ষসেরা খেলোয়াড়

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

এর আগের সাত ম্যাচের ছয়টিতে হার এবং সালাহর চলতি মৌসুমে মাত্র চার গোল; সব মিলিয়ে তার ব্যক্তিগত ফর্মও ছিল সমালোচনার মুখে। সেই প্রেক্ষাপটেই আসে স্লটের সাহসী সিদ্ধান্ত। ফ্লোরিয়ান ভির্টজও ফিরেছেন দুই ম্যাচ বাইরে থাকার পর। আর পুরো দলের ভারসাম্য বদলে স্লট নতুন একাদশ সাজিয়েছেন।

স্লট বলেন, “যখনই আমি ভির্টজ, ইসাক, একিতিকে বা সালাহকে খেলাই না, সেটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হয়। কারণ তারা সবাই অসাধারণ মানের ফুটবলার।”

সালাহকে নিয়ে তার কণ্ঠে প্রশংসার ঝরনাধারা, “সালাহ এই ক্লাবে অবিশ্বাস্য এক ক্যারিয়ার উপহার দিয়েছে। সামনে আরও ভালো সময় অপেক্ষা করছে তার জন্য। সে খুবই বিশেষ একজন খেলোয়াড়।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন কেন সালাহকে বিরতি দেওয়া হয়েছিল, “১০ দিনে চারটি ম্যাচ, আর হাতে মাত্র ১৪-১৫ জন আউটফিল্ড খেলোয়াড়; এমন পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। আমরা প্রতিটি ম্যাচের জন্য সর্বোত্তম একাদশ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করি।”

ওয়েস্ট হ্যামের কৌশল মাথায় রেখেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্লট, “ওদের ফুলব্যাক আক্রমণে অনেক ওপরে উঠত, আর উইঙ্গার ভিতরে ঢুকত। তাই মনে হয়েছিল এই ম্যাচে ভিন্ন সেটআপ আমাদের বেশি সাহায্য করবে। তবে মো এই ক্লাবের জন্য যা করেছে, এখনও যা করছে—তার গুরুত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।” 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ল হক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১২৩

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া-এর প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরো ১৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার। 

ডিএমসি জানিয়েছে, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে দেশজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, প্রায় ৪৪ হাজার মানুষকে রাষ্ট্রীয় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ম্যাচ চলাকালেই মারা গেলেন ভেল্লালাগের বাবা

পরাজয়ের মিছিল পেরিয়ে জয়ের অমৃত স্বাদ

যদিও ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া শনিবার উত্তরে প্রতিবেশী ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবুও রাজধানী কলম্বো থেকে ১১৫ কিলোমিটার (৭০ মাইল) পূর্বে ক্যান্ডির কেন্দ্রীয় জেলায় আরো ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এখানকার বেশ কয়েকটি এলাকার প্রধান সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে।

ডিএমসির মহাপরিচালক সম্পথ কোতুওয়েগোদা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

কোতুওয়েগোদা কলোম্বোতে সাংবাদিকদের বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।”

শ্রীলঙ্কা রেড ক্রস সোসাইটির মহাসচিব মহেশ গুণাসেকারা বলেছেন, বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারী দল তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, “যদিও ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দেশ থেকে সরে যাচ্ছে, তবুও আমাদের জন্য এখনও এটি শেষ হয়নি।” 

বন্যার কারণে কর্তৃপক্ষ কলম্বো থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবাহিত কেলানি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের জন্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে। ডিএমসি জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কেলানি নদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে শত শত মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে।

শ্রীলঙ্কান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদেরকে নগদ অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হারিনি আমারাসেকারা কলম্বোভিত্তিক কূটনীতিকদেরকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং তাদের সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।

ভারত ইতিমধ্যে দুটি বিমান ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। এছাড়াও কলম্বোতে শুভেচ্ছা সফরে থাকা ভারতীয় একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য তাদের রেশন দান করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি আরও সাহায্য পাঠাতে প্রস্তুত।

শনিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানীসহ বেশিরভাগ অংশে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার প্রভাবের কারণে দ্বীপের উত্তরের কিছু অংশে এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার দেশটির সরকারি অফিস ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল দুর্যোগের কারণে দেশের কিছু অঞ্চলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়ক পানিতে ডুবে যায়। নদী ও জলাধার থেকে পানি উপচে পড়ায় আন্তঃজেলার বেশ কিছু সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইপিএলকে বিদায় জানালেন আন্দ্রে রাসেল, ফিরছেন নতুন ভূমিকায়
  • শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১২৩