পঞ্চগড় সদর ও পৌর যুবদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি
Published: 16th, November 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলা ও পৌর যুবদলের পূর্বের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে সম্প্রতি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে এই কমিটি বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে আগের কমিটির নেতারা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) পঞ্চগড় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে এ দাবি তোলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো.
আরো পড়ুন:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি
পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
তাদের অভিযোগ ত্যাগী, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বিধিবহির্ভূতভাবে তথাকথিত একতরফা ও পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চগড়-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।
তারা বলেন, মূলত উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি জেলা কমিটির অনুমোদন নিয়ে প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে পাঠায়। কিন্তু নতুন কমিটির ব্যাপারে জেলার নেতারা কিছু জানে না। এখানে ত্যাগী ও বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেওয়া এবং নির্যাতিতদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তারা কখনো যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। তারা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে ছিল। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ পেতে অন্তত তিন বছর যুবদলের রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু তারা কেউ যুবদলের রাজনীতি করেনি।
বক্তব্যে পঞ্চগড় পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব নুর ইসলাম দিপু বলেন, ‘‘নতুন কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি কখনোই যুবদলে ছিলেন না। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি বিলুপ্ত না করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে ত্যাগী নেতারা।’’
সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. বশির বলেন, ‘‘উপজেলার নতুন কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি কখনো উপজেলা যুবদলে ছিলেন না। তার বাড়ি পৌরশহরে। পৌরসভায় বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও বিধিবহির্ভুতভাবে উপজেলা কমিটিতে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে।’’
পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল বলেন, ‘‘নতুন কমিটির বিষয়ে আমরাও জানতাম না। হঠাৎ করে জানতে পেরেছি কাগজের মাধ্যমে। কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেননি।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল র স ব ক প র য বদল র কম ট র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাকসু নির্বাচনে ভোটার হতে বকেয়া ফি পরিশোধের বিজ্ঞপ্তি, সমালোচনা-ক্ষোভ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের ভোটার ও প্রার্থী হতে শিক্ষার্থীদের সব বকেয়া ফি পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাত্র ছয় দিন সময় বেঁধে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা এর সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদিরের সই করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটার হওয়ার যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে সব ফি বকেয়াসহ পরিশোধ করতে হবে।
রাহিন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ ‘সাস্টিয়ান ভয়েসে’ লিখেছেন, ‘এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের শেষ কোথায়?’ একই পোস্টের মন্তব্যে ইবরাহিম সৌরভ লিখেছেন, ‘শাকসু বানচালের চেষ্টা।’
তানিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ভোটার হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা ছাত্রত্ব থাকা হওয়া উচিত। এ ধরনের ইস্যুগুলো নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ব্যাহত করবে ও নির্বাচনের আমেজ নষ্ট হবে। অন্য উপায়েও এসব ফি আদায় করা যায়। শিগগিরই এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাবিহা ইয়াসমিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিটা দেওয়া হয়েছে। কারণ, ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখন বকেয়া ফি থাকলে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পরে যেতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নতুন সেমিস্টারের যেহেতু বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি, তাহলে এই সেমিস্টারের কোনো ফি দিতে হবে না।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর শাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় গঠনতন্ত্রসহ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছে নির্বাচন কমিশন।