মুক্তিযুদ্ধের সরল গল্পের বাইরের গল্প
Published: 1st, December 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধের সরল গল্পটি হলো: একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন। একই সময় শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধযুদ্ধ। সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী—ইপিআর এবং পুলিশের বাঙালি সদস্যরা প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তখন থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরিচিতি হয় দখলদার বাহিনী হিসেবে।
পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচতে প্রাণের ভয়ে মানুষ ছোটে শহর থেকে গ্রামে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভারতে গিয়ে স্বাধীন বাংলার প্রবাসী সরকার গঠন করেন। এ সরকারের নেতৃত্বে চলে মুক্তিযুদ্ধ।
নভেম্বরের শেষ দিকে ভারতের সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ডের অধিনায়ক ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানি বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। বাংলাদেশ এ দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি এককাট্টা হয়েছিল। গঠন করা হয়েছিল মুক্তিবাহিনী। নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিবাহিনীর কর্মকাণ্ড ছিল পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত রাখা, চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে তাদের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করা এবং নানান তৎপরতা চালিয়ে পাকিস্তানিদের সীমাবদ্ধ কিছু জায়গায় আটকে রাখা। দেখা গেছে, তখন শহরগুলো ছিল অবরুদ্ধ, গ্রামগুলো ছিল মুক্ত। গ্রাম ছিল মুক্তিবাহিনীর অবাধ বিচরণক্ষেত্র।
শুরু থেকেই ভারত এই যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। ভারতের ছিল নিজস্ব পরিকল্পনা ও রণকৌশল। পাকিস্তান সব সময় অভিযোগ করে আসছিল যে ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করে তার পূর্বাঞ্চল দখল করে নিতে চাচ্ছে। তাদের প্রধান অভিযোগ ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। এটা সত্য যে বাংলাদেশ সরকার এবং মুক্তিবাহিনী এপ্রিল মাস থেকেই ভারতের কাছ থেকে সব ধরনের নৈতিক, আর্থিক ও সামরিক সাহায্য পেয়ে আসছিল।
একাত্তরের ১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর শিরোনাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করাই ইন্দিরার লক্ষ্য’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেলদের সমর্থনে মিসেস ইন্দিরা গান্ধী সামরিক–পদ্ধতিতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তাড়াতে চান। তবে তাঁর এই কর্মপন্থা সর্বাত্মক যুদ্ধের রূপ নেবে না। এটা স্বল্পমাত্রায় থাকবে।
পত্রিকাটির নয়াদিল্লির প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারত সরকারিভাবে বলছে, ভারতীয় বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর শুধু আত্মরক্ষামূলক কাজে নিয়োজিত। তবে পদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তারা এ কথা অস্বীকার করেননি যে মুক্তিবাহিনীকে তৎপরতা চালানোর সুযোগ দিতেই ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণাত্মক অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। কয়েকটি সেক্টরে ভারতীয় বাহিনী গেরিলাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে। মুক্তিবাহিনীকে আশ্রয় ও ট্রেনিং দেওয়া এবং অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ভারত পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক সপ্তাহে গেরিলাদের বেশি বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা ছাড়াও
কামান ও মর্টারের গোলাবর্ষণের আড়ালে ভারতীয় বাহিনী তাদের বাস্তব সমর্থন দিয়েছে। তা ছাড়া স্বল্প সময়ে আঘাত হেনে তারা পূর্ব পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে। গত সপ্তাহে তারা আরও সক্রিয় হয়।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে শুরু থেকেই। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও তাদের মিত্ররা পাকিস্তানের পক্ষে থাকে। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্ররা বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে ভারতকে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো ওপরে ওপরে ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ইসলামি ঐক্য সংস্থার কেন্দ্রীয় পরিষদ জাকার্তায় একটি বৈঠকে বসেছিল। সংস্থার নেতারা ভারত ও পাকিস্তানের অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের বিরোধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জাতিসংঘ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে—এ রকম একটি খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি ঐক্য সংস্থা পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতিতে উদ্বেগ জানায়। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলে, পাকিস্তান ও ভারত সরকার পূর্ব পাকিস্তান সমস্যার প্রশ্নে একটি সমাধানে পৌঁছাতে সব রকমের চেষ্টা করবে। বিবৃতিতে আশঙ্কা জানিয়ে বলা হয়, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে উভয় দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।
মরক্কোর বাদশাহ হাসান ২৪টি মুসলিম দেশের সরকারপ্রধানের কাছে এক জরুরি বার্তায় পাকিস্তান-ভারত বিরোধ মীমাংসার ব্যাপারে নিজেদের প্রভাব খাটানোর আবেদন জানান। এদিকে মরক্কোর বিরোধীদলীয় ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের নীতি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা জানায় এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ন্যায়সংগত কারণ ছাড়াই পাকিস্তান ভারতের শিকারে পরিণত হয়েছে।
একাত্তরের ১ ডিসেম্বর ইত্তেফাক–এ পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বেআইনি ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে গ্রাস করতে চাচ্ছেন। পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপারে মিসেস গান্ধীর কী করণীয় থাকতে পারে? পূর্ব পাকিস্তান কি ভারতের অংশ? পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ইন্দিরা গান্ধীকে কখনো তাদের বিষয়ে ওকালতি করতে বলেনি। তিনি কেন শেখ মুজিবের পক্ষে কথা বলছেন? যদি কিছুসংখ্যক আওয়ামী লীগার ভারতের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে থাকেন, তার অর্থ এই নয় যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ইন্দিরাকে তাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সমাধান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির কথা বলেন, তখন আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। পাকিস্তানের জনগণ তাদের দেশের পবিত্র ভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে সম্পূর্ণ তৈরি। পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে অবিলম্বে জিহাদ ঘোষণা করা উচিত। দাঁত ভাঙা জবাব না দেওয়া হলে ভারত কখনোই উসকানিমূলক তৎপরতা থেকে বিরত হবে না।’
মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের অনেক সদস্য কর্মস্থল ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ঢাকার সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ ২২ জন ‘পলাতক’ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সামরিক আইনের আওতায় অভিযোগ আনে। তাঁদের ৭ ডিসেম্বর সকাল আটটার মধ্যে ঢাকার এমপি হোস্টেলে অবস্থিত ৬ নম্বর সেক্টরের উপসামরিক আইন প্রশাসকের সামনে হাজির হতে বলা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল আবদুল খালেক, ভাইস প্রিন্সিপাল শৈলেন্দ্র কিশোর চৌধুরী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বজলুর রহমান।
রাওয়ালপিন্ডি থেকে এএফপি পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়, ভারতীয় বাহিনী ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলার দর্শনা এবং সিলেট জেলার শমসেরনগরে হামলা চালিয়েছে। দুটি হামলাই পর্যুদস্ত করা হয়েছে।
গোটা বিশ্ব জেনে যায়, পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন থেকে রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতে অস্ত্রের চালানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। ভারতীয় বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ করার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁকে (পশ্চিম) পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারের ভেতরেই তাঁর বিচারের জন্য বসে বিশেষ সামরিক আদালত। ১ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডি থেকে পিপি পরিবেশিত এক খবরে জনৈক সরকারি মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এখনো শেষ হয়নি।
এদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাটকীয় পালাবদল চলছিল। প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি শিগগিরই একটি বেসামরিক সরকার গঠন করবেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। দুজন এমপিসহ পাকিস্তান পিপলস পার্টির পাঁচজন সদস্য জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, জামায়াতের আমির মাওলানা মওদুদী পাকিস্তান সৃষ্টির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। জামায়াতের প্রচারপত্রেই এর প্রমাণ আছে।
মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক
* মতামত লেখকের নিজস্ব
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন ১ ড স ম বর র রহম ন র র র জন য ইন দ র র জন ত সরক র ইসল ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
এসব খাবার আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখবে
কাজের চাপে ক্লান্ত লাগলে বা দুপুরের পর অফিসে ঘুম পেলে অনেকেই কফি বা মিষ্টি কিছু খেয়ে ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনাকে সারা দিন চনমনে রাখতে পারে, আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো উল্টো আপনাকে দুর্বল করে দেয়!
সকালের নাশতা বাদ দেওয়া আমাদের অন্যতম বড় ভুল। এতে ক্লান্তি ও মানসিক চাপ তুলনামূলক বেশি হয়। তাই সকাল শুরু হোক এমন খাবার দিয়ে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে; যেমন ওটস, চিড়া, ডিম ও পূর্ণ শস্যের টোস্ট, দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ফল ও বাদাম—এই খাবারগুলো শরীরে শর্করা, প্রোটিন ও ফাইবার সরবরাহ করে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখবে।
সারা দিন শক্তি ধরে রাখার কৌশলবাদাম, বীজ আর শস্যজাতীয় খাবার শক্তির অন্যতম বড় উৎস। এগুলোতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও ভিটামিন—যা রক্তে চিনির মাত্রা স্থির রাখে এবং হঠাৎ এনার্জি ড্রপ থেকে বাঁচায়। একমুঠো কাজু, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজের মতো স্ন্যাক হতে পারে আপনার দুপুরের ‘এনার্জি ব্রেক’।
প্রোটিন: ঠিকভাবে দেহের প্রতিটি কোষের কাজ চালাতে প্রোটিন অপরিহার্য। মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল ও ছোলা হলো এমন কিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা দ্রুত ক্লান্তি দূর করে। বিশেষ করে মাছ (যেমন ইলিশ, রুই, টুনা) শুধু প্রোটিন নয়, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও দেয়, যা মস্তিষ্ককেও সক্রিয় রাখে।
জটিল শর্করা: সাদা চাল বা পরিশোধিত ময়দা শরীরে দ্রুত শক্তি দেয়, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়েও যায়। এর পরিবর্তে বেছে নিন লাল চাল, ব্রাউন রাইস, গমের রুটি বা ওটস—এগুলো ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’, যা ধীরে হজম হয় এবং সারা দিন স্থিতিশীল এনার্জি দেয়।
শাকসবজি ও ফল: নিয়মিত রঙিন শাকসবজি ও ফল খান। আপেল, কলা, কমলা, পালংশাক, ব্রকলি, গাজর—এগুলোর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে চাঙা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুনকৈশোরে সঠিক পুষ্টি না পেলে যা হয়, যেসব খাবার খেতে হবে১৬ নভেম্বর ২০২৫যেগুলো এড়িয়ে চলা ভালোঅতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাত খাবার দ্রুত শক্তির জোগান দিলেও খুব দ্রুতই ক্লান্ত করে ফেলে।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন সাময়িকভাবে মনোযোগ বাড়ায়, কিন্তু ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে দেয়।
অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত বা ভারী খাবার। এগুলো হজমে সময় নেয়, ফলে ঘুম ঘুম লাগে।
ছোট ছোট টিপসপানিশূন্যতা ক্লান্তি ডেকে আনে, নিয়মিত পানি পান করুন।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না।
পর্যাপ্ত ঘুম ও হালকা ব্যায়াম প্রাকৃতিকভাবে আপনার শক্তি বাড়াবে।
শক্তি ধরে রাখার কোনো ‘জাদুকরি খাবার’ নেই, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারে আপনাকে সারা দিন প্রাণবন্ত রাখতে। তাই পরেরবার শক্তি কমে গেলে চিনি বা সফট ড্রিংকের দিকে না ছুটে, বেছে নিন প্রকৃতির দেওয়া সঠিক খাবারগুলো।
আরও পড়ুনএকবারে কতটা বাদাম খাওয়া নিরাপদ২১ অক্টোবর ২০২৫