যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের সুফল কিছুটা হলেও পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের জুতাশিল্প। বাড়তি ক্রয়াদেশ পাচ্ছে এই খাতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাতে চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই–অক্টোবরে এই বাজারে চামড়ার জুতা রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ। আর চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি আগের চেয়ে বেড়েছে তিন গুণ বা ১৯১ শতাংশ। সার্বিকভাবে জুতা রপ্তানি অবশ্য ৩২ শতাংশের মতো বেড়েছে।

জুতাশিল্পের একাধিক উদ্যোক্তা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন মার্কিন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের জুতা ক্রয়ের আদেশ আসছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে, তারা দ্রুত ক্রয়াদেশ নিতে পারছে। তারা চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনসক্ষমতাও বাড়িয়েছে। তবে বড় আকারে ব্যবসা ধরার পাশাপাশি তা টেকসই করতে দেশেই জুতার কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ লাগবে। প্রয়োজনে সরকারকেও নীতিসহায়তা দিতে হবে। কারণ, প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার লিডটাইম (ক্রয়াদেশ থেকে শুরু করে পণ্য জাহাজীকরণ পর্যন্ত সময়) বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। তবে বাংলাদেশে খরচ একটু কম। শুধু এটি দিয়ে রপ্তানি বেশি বাড়ানো কঠিন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ৪২ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশি জুতার বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হলেও এখন এক-তৃতীয়াংশ জুতার গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাজারটিতে জুলাই-অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের জুতা, যা গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ থেকে ১২ কোটি ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের ১০ কোটি ডলারের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ জুতা রপ্তানি হয়, তার প্রায় পুরোটাই চামড়ার তৈরি। তবে পাল্টা শুল্কের সুযোগে চমক দেখাতে শুরু করেছে চামড়াবিহীন জুতা। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি তিন গুণের বেশি বেড়েছে। উচ্চ শুল্কের কারণে চীনের ক্রয়াদেশ সরতে থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

— বাংলাদেশের চামড়া খাতের রপ্তানি দীর্ঘদিন ধরেই ১ বিলিয়ন থেকে সোয়া ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘুরপাক করছে। চীন থেকে ১-২ শতাংশ ক্রয়াদেশও যদি সরে আসে, তাহলে আমাদের জুতা রপ্তানি অনেক বেড়ে যাবে।—মো.

নাসির খান, সহসভাপতি, এলএফএমইএবি।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত জুলাই–অক্টোবর চার মাসে ১ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ৫৪ লাখ ডলারের চেয়ে ১৯১ শতাংশ বেশি। সার্বিকভাবে জুতা রপ্তানি অবশ্য ৩২ শতাংশের মতো বেড়েছে।

চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এনপলি ফুটওয়্যার চলতি বছর থেকে দুটি মার্কিন কোম্পানির কাছে জুতা রপ্তানি করছে। দুটি শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ব্র্যান্ডের সঙ্গে ক্রয়াদেশ নিয়ে আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হলেই ক্রয়াদেশ পাওয়ার আশা প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে এনপলির কারখানায় দিনে ১৪ হাজার জোড়া জুতা উৎপাদিত হয়। তাদের পাওয়া বিক্রয় বা রপ্তানি আদেশের ১৫ শতাংশ মার্কিন কোম্পানির, যা এক বছর আগেও ছিল শূন্য।

এ বিষয়ে এনপলি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মার্কিন ক্রেতারা চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক যা–ই হোক না কেন, নীতির পরিবর্তন খুব একটা হবে না। মার্কিন ব্র্যান্ডের ক্রয়াদেশ নিতে গেলে কারখানাগুলোকে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে সাহস পাবেন।

গত ৩১ জুলাই ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর সংশোধিত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করে, যা ৭ আগস্ট কার্যকর হয়। সংশোধিত হার অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পণ্যে বাড়তি ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসেছে। ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে হারটি দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। আর ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের পাল্টা শুল্কের হার ১৯ শতাংশ। শুরুতে চীনের পণ্যে অন্য দেশের চেয়ে কয়েক গুণ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়।

পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারকেরা জানাচ্ছিলেন, কিছু মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান গত বছর থেকে বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আবার পুরোনো ক্রেতারাও ক্রয়াদেশ বাড়াচ্ছেন। ব্র্যান্ডভেদে কমপ্লায়েন্স ও মানভেদে জুতার নতুন ক্রেতা অন্তর্ভুক্ত করতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগে। সে কারণে ফলাফল কিছুটা দেরিতে পাওয়া যায়।

রপ্তানিকারকদের কথার সত্যতা রপ্তানি পরিসংখ্যানেও পাওয়া যায়। ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সার্বিকভাবে জুতা রপ্তানি ২৪ শতাংশ বেড়ে ১১৯ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছিল। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৩১ কোটি ডলারের জুতা, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত অর্থবছরে ২৯ কোটি ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছিল, যা তার আগের বছরের চেয়ে ১১ কোটি ডলার বা ৬১ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে গত অর্থবছর প্রায় ২ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫১ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি ৮৬৫ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৪২ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি করেছে চীন। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি ছিল ২৫৩ কোটি ডলারের।

আরএফএল গ্রুপ শুরুতে ইইউর বাজারে জুতা রপ্তানি করত। বর্তমানে তাদের মোট জুতা রপ্তানির অর্ধেকই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে বিশ্বখ্যাত খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড ওয়ালমার্টে জুতা রপ্তানি করেছে তারা। আগামী জানুয়ারিতে স্কেয়ার্সের জন্যও জুতা পাঠাবে তারা। গত অর্থবছরে মোট আড়াই কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি করেছে আরএফএল। বর্তমানে তারা চারটি কারখানায় জুতা উৎপাদন করছে। শিগগিরই কারখানার সংখ্যা আরেকটি বাড়বে।

এ নিয়ে আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আর এন পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক যা–ই হোক না কেন, যেসব ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে জুতা উৎপাদন করে স্বচ্ছন্দ পাবে, তারা থাকবে। আশা করছি, বাজারটিতে আমাদের রপ্তানি দিন দিন বাড়বে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন খামার জরাজীর্ণ, নষ্ট হচ্ছে কোটির টাকার সম্পদ  

জনবলস্বল্পতা ও সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। ১৪ জনের বিপরীতে এখানে কর্মরত আছেন ৫ জন। খামারে শুরুর দিকে হ্যাচারি চালু থাকলেও ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কারের অভাবে মুরগির বাচ্চা পালনের শেডসহ কর্মচারীদের থাকার ঘরটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ।

কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজনীয় জনবলের স্বল্পতা, অর্থ বরাদ্দ না থাকা এবং চাহিদার বিপরীতে নিয়মিত বাচ্চার জোগান দিতে না পারায় ওই সরকারি খামারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। খামার নামের সঙ্গে ‘প্রজনন’ শব্দটি থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব হয় না।

খামার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি শেড নির্মাণ ও বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় বছরে ২০ হাজার। দুটি শেড পরিত্যক্ত থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। আবদুল লতিফ, পোলট্রি টেকনিশিয়ান

খামার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মানুষের ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণ ও বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার স্থাপিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজবাড়ীর নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন প্রায় তিন একর জমিতে ওই খামার স্থাপিত হলেও এখন পর্যন্ত খামারে হাঁস পালন হয়নি। পাঁচ বছর আগে সরকারি আদেশে ‘হাঁস’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার’ লেখা হয়। মুরগির বাচ্চা পালনে চারটি শেড, প্রশাসনিক ভবন, ব্যবস্থাপকের বাসভবন, অতিথি কক্ষ, বিক্রয়কেন্দ্র, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন তৈরি করা হয়। খামার প্রতিষ্ঠার পর হ্যাচারি কার্যক্রম (বাচ্চা ফোটানো) ছিল। অবকাঠামোগত সমস্যায় ১৯৯৭ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

জনবলসংকটে কার্যক্রম অনেকটা স্থবির। খামারের ব্যবস্থাপক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. কামাল বাশার স্বাক্ষরিত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদের তালিকা গত বছরের ১২ মে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালকের (উৎপাদন) কাছে পাঠানো হয়। এতে খামার পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, দুজন পোলট্রি টেকনিশিয়ান, একজন অফিস সহকারী এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন।

এ ছাড়া খামার ব্যবস্থাপকসহ এফএ (ফডার), ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, পোলট্রি অ্যাটেনডেন্ট, হ্যাচারি অ্যাটেনডেন্ট, নৈশপ্রহরী, এমএলএসএস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ শূন্য রয়েছে। ব্যবস্থাপকের পদটি এক যুগ ধরে শূন্য। দীর্ঘদিন শূন্যের পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে মো. মেহেদী হাসান যোগদান করেন।

চারদিকে দেয়ালঘেরা খামারের মূল ফটক পেরোলে বাঁয়ে প্রশাসনিক ভবন, ডানে বিক্রয়কেন্দ্রসহ একতলা ও টিনশেডের ১৩টি স্থাপনা। বাচ্চা পালনে চারটির মধ্যে দুটি শেড পরিত্যক্ত থাকলেও সম্প্রতি একটি শেড সংস্কার করা হয়। পানির ট্যাংকের খুঁটিতে ফাটল ধরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ব্যবস্থাপকের বাসভবন ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন এবং অপর শেডটি জরাজীর্ণ। মাদকসেবীদের উৎপাত থেকে রক্ষায় পরিত্যক্ত অতিথি কক্ষের দরজায় কাঁটাযুক্ত ডালপালা রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জেনারেটর, পানির পাম্প, গাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল অকেজো হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি এই খামারে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষ কিনতে আগ্রহী থাকলেও বাচ্চা নিতে এসে অধিকাংশ মানুষ খালি হাতে ফিরে যান। 

পোলট্রি টেকনিশিয়ান আবদুল লতিফ বলেন, খামার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি শেড নির্মাণ ও বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় বছরে ২০ হাজার। দুটি শেড দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত বছর আরেকটি শেড সংস্কার শেষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৫০টি বাচ্চা পালন করা হয়। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪০৫টি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৫০টি পালন হয়। 

পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘জনবলসংকট ও জরাজীর্ণ স্থাপনার কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১৮ বছর ধরে বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায় তিনটির মধ্যে দুটি শেড প্রায় ১৫ বছর বন্ধ ছিল। সম্প্রতি একটি শেড সংস্কার করা হয়েছে। বছরে ২০ হাজার বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১৩-১৪ হাজার বাচ্চা পালন করা যায়। অন্য জেলা থেকে বাচ্চা সরবরাহ করতে হয় বলে চাহিদা দেওয়ার পরও নিয়মিত পাই না। শেড সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পাইনি। ফলে কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, আপাতত হ্যাচারি চালুর পরিকল্পনা না থাকলেও আগামী অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে জরাজীর্ণ শেড এবং আবাসিক ভবন সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা
  • রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন খামার জরাজীর্ণ, নষ্ট হচ্ছে কোটির টাকার সম্পদ