আইনজীবী রমজান আলীর মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া
Published: 12th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য এড. মো. রমজান আলীর মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে প্রয়াত এড. রমজান আলীসহ আইনজীবী সমিতির সকল প্রয়াত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং সকল আইনজীবীদের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
শোকসভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আঃ বারী ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (পিপি) এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সিনিয়র আইনজীবী এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, এড.শওকত আলী, এড. রফিক আহমেদ, এড. নবী হোসেন, এড. আঃ গাফফার, এড. জয়নাল আবেদীন, এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, এড. খলিলুর রহমান, এড. হাফিজুর রহমান মোল্লা, এড. হুমায়ূন কবির, এড. আওলাদ হোসেন, এড. মশিউর রহমান শাহিন, এড. হাফিজুর রহমান মোল্লা, এড. রাকিবুল ইসলাম শিমুল, এড. আজিজুল হক হান্টু, এড. শামসুল আরেফীন টুটুল, এড. সালাউদ্দিন সবুজ, এড. কামরুজ্জামান রতন, এড. কায়সার আলম টুটুল।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি এড. আজিজ আল মামুন, সহ-সভাপতি এড. মাইনুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আলম খান, কোষাধ্যক্ষ এড. জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, লাইব্রেরী সম্পাদক এড. সিদ্দিকুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক এড. রাসেল প্রধান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. আসমা হেলেন বিথি, সমাজ সেবা সম্পাদক এড. ফজলুর রহমান ফাহিম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মোজাম্মেল হক মল্লিক শিপলু, সদস্য এড. ফাতেমা আক্তার, এড. নুরুল কাদের সোহাগ, এড. আবুল কালাম আজাদ, এড. মো. সুমন মিয়া, এড. আকতার হোসেনসহ সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে নাকচ
বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এদিকে আদালতের নথি কাটাছেঁড়ার অভিযোগে মামলার বাদী শহিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এর আগে ২৩ জুলাই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য শহিদুল ইসলাম ২৩১ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার পর আদালত বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল চলাকালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, ছেনি, চায়নিজ কুড়ালসহ কার্যালয় ঘিরে ফেলেন। এরপর তাঁরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক বৈঠকে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফোরামের সদস্যসচিব আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘তিনি (শহিদুল ইসলাম) আমাদের সদস্য। তিনি মামলা করেছেন, তা আমরা জানতাম না। তাই তাঁকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
একই দিনে শহিদুল ইসলামের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না কার নামে মামলা হয়েছে, নেতারাই আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রথম আলোকে বলেন, এটি দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। যিনি মামলা করেছেন, তিনি ব্যক্তিস্বার্থে করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
আদালতের পেশকার নাদিরা পারভীন বলেন, মামলার আদেশ হওয়ার পর বাদী আদালতের নথিতে কাটাছেঁড়া করেছেন। তাই আদালত তাঁকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলা প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, কিছু আসামির নাম-ঠিকানা ভুল ছিল, সে কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম।
উল্লেখ্য, একই ঘটনায় বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম ৩০ এপ্রিল একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের ধারা সংযোজন করা হয়।