গাজীপুর কারাগারে ‘আয়নাবাজির’ ঘটনায় আদালতে মামলা, আইনজীবীকে শোকজ
Published: 11th, December 2025 GMT
গাজীপুরে টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে জেল খাটার ঘটনায় আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
এ ছাড়া প্রকৃত আসামির পরিবর্তে অন্য ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করায় এক আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার মোথাজুরী তালচালা গ্রামের ছাত্তার মিয়া (৪৫) ও তাঁর পরিবর্তে কারাগারে থাকা একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩০)।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার কাচিঘাটা রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবু শরীফ উর রহমান খান চৌধুরী গত ২৪ নভেম্বর ছাত্তার মিয়া, বাবুল হোসেন, মো.
এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলা কারাগারে আসামির আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, কারাগারে যাওয়া আসামি ছাত্তার মিয়ার প্রকৃত নাম জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুল ইসলাম। প্রকৃত আসামির নাম ও পরিচয় গোপন করায় অভিযুক্ত ছাত্তার মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পেনাল কোডের ১৯৬/২০৫/৪১৭/ ৪২০/৪৬৬/৪৬৮ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি ছাত্তার মিয়ার পক্ষে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী শ্যামল সরকারকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গাজীপুর বন আদালতের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জুয়েল রানা বলেন, আদালতে মামলা করা হলে বিচারক সংশ্লিষ্ট থানায় এআইআর করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া আইনজীবীকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনটাকার বিনিময়ে কারাগারে যুবক, বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকৃত আসামি০৯ ডিসেম্বর ২০২৫গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বলেন, ‘ওই আসামিকে আমাদের কারাগারে পাঠানো হলে তাঁর আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস নেওয়া হয়। আসামি ছাত্তারের ছাপ নেওয়ার সময় দেখা যায়, তাঁর প্রকৃত নাম সাইফুল ইসলাম। পরে জানতে পারি, তিনি অন্যজনের হয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। পরে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছি।’
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘গাজীপুর কারাগারে ‘আয়নাবাজি’: টাকার বিনিময়ে কারাগারে যুবক, বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকৃত আসামি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর
গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও ১২ জন সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আগামী ১৪ ডিসেম্বর আদেশ দেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাদী-বিবাদী, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ওই দিন ধার্য করেছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ওই মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে ৫টি বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে, অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। খবর বিবিসির।
মামলার ১৩ আসামির মধ্যে তিন সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন-ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী।
ঢাকা/এসবি