গোপালগঞ্জে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ২ সাংবাদিক গ্রেপ্তার
Published: 12th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম ও ইকবাল মিয়া নামে তথাকথিত দুই সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চাঁদাবাজীর মামলা দায়েরের পর আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার নিজড়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত তথাকথিত সাংবাদিকরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের বিসিক এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি ‘আজকের বাংলাদেশ’সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি। অপর সাংবাদিক ইকবাল মিয়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ‘ভোরের সময়’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকার গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান জানান, বিকেলে সদর উপজেলার নিজড়া এলাকায় এক ব্যক্তি তার বাড়ির পাশে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটছিলেন। এসময় ওই দুই সাংবাদিক গিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। এসময় স্থানীয় জনতা ও ড্রেজার মালিক তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, “এ ঘটনায় ড্রেজার মালিক লিটন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। চাঁদাবাজীর মামলা দায়েরের পর আজ রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।