বাতিল ঘোষণা করা ‘পোষ্য কোটা’ ভিন্ন নামে ফিরছে, তবে যুক্ত হচ্ছে শর্ত
Published: 16th, August 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। তবে ‘প্রতিষ্ঠানিক সুবিধার’ নামে কিছু শর্ত যুক্ত করে সেই পোষ্য কোটা পুনরায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য নিজের মুখে পোষ্য কোটা বাতিল ঘষণার পর আবার সেটা ভিন্ন নামে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত প্রতারণা ও বিশ্বাস ঘাতকতার শামিল। তবে প্রশাসন বলছে, পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে প্রতিষ্ঠানিক সুবিধা রয়েছে, সেটার আওতায় তাঁদের সুন্তানদের কিছু সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির সভায় পোষ্য ভর্তিতে পূর্বের নিয়মগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় সংস্কার করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধু তাঁদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে এ সুবিধা ভোগ করবেন। আগে এই কোটার আওতায় ভাই, বোন এবং স্ত্রীও ছিলেন।
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক শিক্ষাবর্ষে সর্বোচ্চ ৪০ জন পোষ্য ভর্তি হতে পারবেন এবং একই বিভাগে সর্বোচ্চ চারজন পোষ্য ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া একজন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা শুধু একজন সন্তানের ক্ষেত্রে পাবেন এবং যে বিভাগে পোষ্যদের মা–বাবা চাকরি করেন, সে বিভাগে ভর্তি করাতে পারবেন না। তবে পোষ্য ভর্তিতে পাস নম্বর কত হবে, সেটা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মতভেদ থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা শাখা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা প্রথম আলোকে বলেন, পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে পাস নম্বর কত হবে, সেটা নিয়ে শিক্ষকেরা একমত হননি, বিধায় বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পোষ্য ভর্তির ক্ষেত্রে বাকি বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পোষ্য কোটাকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমৃত্যু গণ–অনশন শুরু করেন ১৪ জন শিক্ষার্থী। ১৯ ঘণ্টা অনশনের পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন রাতেই পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত জানান উপাচার্য।
সে সময় উপাচার্য নতুন যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন সেগুলো হলো—পোষ্য কোটায় মোট ৪০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে এবং শুধু সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পোষ্য কোটায় পাস মার্ক করা হয় ৪০ শতাংশ।
প্রশাসনের ওই সংস্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৪ ফেব্রুয়ারি অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই দিন প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের সাঁটানো পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেখানে দুই পক্ষের উত্তেজনার পর শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। একপর্যায়ে উপাচার্য বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঅনশনের মুখে পোষ্য কোটায় কিছু পরিবর্তন এনেছে জাহাঙ্গীরনগরের প্রশাসন০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ওই কোটা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পোষ্য কোটা স্থগিত রেখেছিলাম। কিন্তু এটার ক্ষেত্রে কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারণ, ভর্তির বিজ্ঞপ্তির সময় পোষ্যদের বিষয়ে অর্ডিন্যান্স ছিল। যদি বাতিল করা হয় তাহলে যে কেউ রিট করলে এটা ফিরে আসত। এ বছর বাতিল করা সম্ভব নয়, আগামী বছর এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যাবে। তাই আমরা সংস্কার করে প্রতিষ্ঠানিক সুবিধার আওতায় পোষ্যদের নিয়ে আসছি। তবে আগের মতো যে কেউ ভর্তি হতে পারবেন না। অনেকগুলো শর্ত দিয়েছি, যেগুলো পূরণ করেই ভর্তি হতে পারবেন এবং আসনও নির্দিষ্ট করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, শুধু অনগ্রসর শিক্ষার্থীরা কোটা ভোগ করবে। পোষ্যরা কোনোভাবেই অনগ্রসর নন। তাঁরা প্রিভিলেজড বলে আমরা মনে করি। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সবার সামনে প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করে সেটা আবার ফিরিয়ে আনছে। আমরা তাদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে।’
পোষ্য কোটার জটিলতায় ক্লাস শুরুতে বিলম্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (৫৪তম ব্যাচ) ভর্তি পরীক্ষা গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যখন এই শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করেছে আরও আগে, সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ছয় মাস পার হলেও ক্লাস শুরু করতে পারেনি। পোষ্য কোটার হিসাব-নিকাশে ভর্তি কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ভর্তির শুরুতেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন নবীন শিক্ষার্থীরা।
৫৪তম ব্যাচে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থী সামিয়া জামান বলেন, ‘আমাদের বন্ধুবান্ধব অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করে অনেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানে আমাদের এখনো ভর্তি কার্যক্রমই শেষ হয়নি। বাসায় বসে থেকে আমরা একধরনের মানসিক হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর মোট ২৭৮ জন শিক্ষার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৫৯ জন, ২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৫৬ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৫৪ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৫৬ জন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫৩ জন ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় শুধু পাস নম্বর পেয়েই পছন্দের বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কেউ কেউ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভর ত র ক ষ ত র নত ন স দ ধ ন ত জ হ ঙ গ রনগর প ষ য ভর ত শ ক ষ বর ষ কর মকর ত উপ চ র য আম দ র প রব ন পর ক ষ য় ভর ত ন ত হয়
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোষ্য ভর্তি পুনর্বহাল রেখে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিন্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বাতিল করা হয়েছে শিক্ষকদের ভাই-বোন কোটা।
এদিকে, কোটা পুনর্বহালের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা পোষ্য কোটা পুনর্বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: তৃতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ২২ প্রার্থী
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারে জরুরি টেন্ডার দাবি শিক্ষার্থীদের
জানা যায়, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কিছু শর্তসাপেক্ষে পোষ্য ভর্তি বহাল রাখা হয়েছে। পোষ্যদের ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। কোনো পোষ্য যদি ভর্তি হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করে, তাহলে তার ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের স্বামী-স্ত্রী ও ভাই-বোনদের জন্য থাকা কোটা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে শুধু ঔরসজাত সন্তানরাই পোষ্য কোটার আওতায় ভর্তির সুযোগ পাবে।
পোষ্য কোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, “পোষ্য ভর্তি নিয়ে প্রশাসন যে ধৃষ্টতা দেখাল, এটা সত্যিই আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। যারা দাবি করেছিল, পোষ্য ভর্তি বাতিল করতে হবে; তাদের দাবিকেও কর্ণপাত করা হলো না। আর যারা যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছে, তাদের দাবিও কর্ণপাত করা হল না।”
তিনি বলেন, “সকল যুক্তির ঊর্ধ্বে উঠে প্রশাসন যাচ্ছেতাই একটা সিদ্ধান্ত নিল। এতদিন পর্যন্ত প্রশাসন যে প্রহসন করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিশ্রিতম প্রহসন হল এই সিদ্ধান্ত। ডেয়ার প্রশাসন, আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা ম্যানেজড না।”
শাখা ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পোষ্য ভর্তি বাতিল করলেও হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে তা আবার ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছে। আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আর্থ-সামাজিকভাবে অগ্রসর এবং উন্নত জীবনমানের সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য এ সুবিধা কতটা যৌক্তিক-সে প্রশ্ন দৃঢ়ভাবে রেখে আসছি। প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি দ্বিমুখী আচরণ না করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য।”
ইংরেজি বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতী লিখেছেন, “আমরা অনশন করেছি, আন্দোলন করেছি, সারাদিন রোদে ঘামে ভাই-বোনেরা একসঙ্গে থেকেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি, তবুও পিছিয়ে যাইনি। প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশে প্রতীকীভাবে পোষ্য কোটাকে কবর দিয়েছি “
তিনি আরো লিখেছেন, “আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, পোষ্য কোটা বাতিল। কিন্তু কে জানত, তারা আবারো সুযোগ বুঝে আঘাত হানবে। জাকসুকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নতুন তামাশা করবে! মুখের কথা যদি রাখতে না পারেন, মনে যদি অসৎ উদ্দেশ্য লালন করেন, তাহলে ওই চেয়ার আপনাদের জন্য নয়। এ চেয়ার শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষাকারীর জন্য, প্রতারণাকারীর জন্য নয়।”
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার ধারাবাহিক আন্দোলন ও অনশনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে টানা ১৯ ঘণ্টার গণঅনশনের পর উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ঘোষণা দেন, পোষ্য কোটা স্থগিত থাকবে, তবে কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের কথাও তখন জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, পোষ্য কোটায় আবেদনকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলত। প্রতি বিভাগে চারজন করে সর্বোচ্চ ১৪৮ জন শিক্ষার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেতেন। যদিও বিগত ৫ বছরে এই কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৫৫ জন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী