রোহিতের পর জয়সোয়ালকে রঞ্জির ক্যাম্পে যাওয়ার নির্দেশ
Published: 15th, January 2025 GMT
মুম্বাইয়ের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গতকাল সকাল থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রস্তুতি শুরু করেছে মুম্বাই। সেখানে নেটে অনুশীলনের পর সেন্টার উইকেটে ম্যাচের আদলে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে রোহিতকে। সেন্টার উইকেটে রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাটিং করেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে।
রোহিত শর্মার পর ভারতীয় টেস্ট দলের তরুণ ওপেনার জশস্বী জয়সোয়ালকেও রঞ্জির ক্যাম্পে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শুধু রোহিত-জয়সোয়াল নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে নেই এমন সকল ক্রিকেটারকে রঞ্জির ক্যাম্পে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ২৩ জানুয়ারি রঞ্জি ট্রফির ষষ্ঠ রাউন্ডে জম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে মুম্বাই খেলবে ঘরের মাঠ বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সে। দুই ঘণ্টার নেট সেশনে অংশ নিলেও ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে রোহিত খেলবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। মুম্বাইয়ের হেড কোচ ওমকার সালভির তত্ত্বাবধানে আগামী এক সপ্তাহ চলবে এই ক্যাম্প।
এখনও ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেনি মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। অনুশীলনে সবকিছু ঠিক থাকলে রোহিত ওই ম্যাচ খেলতেও পারেন। জানা গেছে, রঞ্জিতে লিগ পর্বে এক-দুটি ম্যাচ খেলতে পারেন রোহিত। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, রোহিত ক্যাম্পে এসেছেন মূলত অনুশীলনের জন্য। তবে এখন ম্যাচ খেলার নানা ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ফেরার পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অনানুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের তারকাদের চোট না থাকলে রঞ্জি খেলার পরামর্শ দিয়েছে। সিডনি টেস্ট শেষেই ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর রোহিত-কোহলিসহ জাতীয় দলের সবাইকে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার তাগাদা দেন।
ভারত অধিনায়ক রঞ্জি ক্যাম্পে যোগ দেওয়ায় সে পরামর্শের গুরুত্ব বোঝা গেছে। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে মাত্র ৩১ রান করেন রোহিত। ফর্মে না থাকায় তিনি সিরিজের শেষ টেস্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এর পর তাঁর অবসরের গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে রঞ্জি ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এ ব্যাটার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এত দ্রুত বিদায় নিচ্ছেন না তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চব্বিশের গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, পরে অন্যকাজ: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, চব্বিশের গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, পরে অন্যকাজ। তা না হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করা হবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রাজনীতির সঙ্গে চাঁদাবাজি, দুর্বৃত্তের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল, এখনও আছে। এ চাঁদাবাজি কারা করছে, তা বন্ধ করতে হবে।
‘জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে মজলুম দল’ উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনও নিবন্ধন ফিরে পাইনি। জামায়াত একমাত্র দল যার নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই দল আল্লাহর আইন চায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম জামায়াতে ইসলামীকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যে দলই অতীতে ক্ষমতায় এসেছে তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নেই।’
এ সময় জামায়াত আমির বলেন, ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে। কারও উস্কানিতে আমরা কারও ক্ষতি করতে দেবো না। পলাতক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর এখন দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’ দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি জহেদুল ইসলাম ও শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ সাকিলের যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহহাজান, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিমল কান্তি শীল, সাবেক জেলা আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মুফতি হাবিব উল্লাহ, কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অ্যাড. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী ও অ্যাড. শাহজালাল চৌধুরী।
কর্মী সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে সম্মেলনস্থলে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সকাল ৯টার মধ্যেই হাজারো মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয় সম্মেলনস্থল।
এবারের কর্মী সম্মেলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। তবে নারীরা কলেজের মাঠের বিপরীতের অবস্থিত ইলিয়াস মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসে নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন।
বিপুল লোকের সমাগমকে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকারি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জামায়াতের নিজস্ব প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন।