স্ত্রী-সন্তানসহ শেখ হাসিনার একান্ত সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 15th, January 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী মোসাম্মৎ মোমেনা বেগম এবং দুই ছেলে মুহতাসিম আলম ও মুনতাসিম আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব (বাধ্যতামূলক অবসরে) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে ১৫ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন আছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশগমন রোধ করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৃষক কুদ্দুস আলী শেখের (৬৫) পায়ে রাসেলস ভাইপার সাপ কামড় দেয়। তখন তিনি লাঠির সাহায্যে সাপটির গতি রোধ করেন। এরপর নিজেই পা বেঁধে ফেলেন, খবর দেন পরিবারের সদস্যদের। জীবিত সাপটি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারীতে কুদ্দুস আলী শেখকে সাপ কামড় দেয়। তাঁর বাড়ি চিলমারী চরে। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কুদ্দুস আলীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তিনি আপাতত সুস্থ। তবে ক্ষতস্থানে ফোলা রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
কুদ্দুস আলী শেখের ভাষ্যমতে, সোমবার সকালে তিনি চরে কলাইখেতে যান। সেখানে কাজ শেষে দুপুরে মাঠের ভেতরে কাঁচা পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে সাপ কামড় দেয়। তিনি বলেন, ‘মাঠ থিকি আসছিলাম। একটা জিপা জাগা। একপাশে জঙ্গলমতো ছিল। আরেক পাশে কলার বাগান। সাপের মুখের সামনে পাওডা (পা) পড়চে, অমনি কামড় দিছে। কুট করে উঠলো। জইলি–পুড়ি যাচ্ছে। দেখছি যে সাপ চলি যাচ্ছে। হাতের পর একটা লাঠি ছিল, সাপের সামনে টোকা দিলাম। সাপ থাইমি গেল।’
কুদ্দুস আলী শেখ আরও বলেন, ‘নিজের ক্ষেমতায় গামছা দিই বান (পা বাঁধা) দিলাম। তারপর সাপটাকে ধরলাম। এরপর পরিবারকে ফোন দিলাম। দ্রুত তাঁরা আইসি প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে সাপটাকে ভরে হাসপাতালে নিই। গাড়িত করি আমাকে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেয় তারা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাপটি হাসপাতালে কুদ্দুস আলীর কাছে প্লাস্টিকের বোতলে ছিল। তবে একপর্যায়ে সাপটি মারা যায়। স্থানীয় কয়েকজন তরুণ সাপটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চত্বরে পুঁতে রাখেন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাপটি অনেক বড়, পূর্ণবয়স্ক; প্রায় তিন ফুট লম্বা। সাপের ছোবলে কৃষকের কাটা অংশ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। হয়তো সাপ বিষ ঠিকমতো দিতে পারেনি। এ জন্য তিনি সুস্থ আছেন। সাপটি সঙ্গে করে নিয়ে আসায় ভালো হয়েছে। সাপ চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।’