দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খনি থেকে কমপক্ষে ৭৮ জন অবৈধ খনি শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই খনিটিতে পুলিশ কয়েক মাস ধরে খাদ্য ও জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রেড ইউনিয়নগুলো এ ঘটনাকে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টারত মরিয়া মানুষদের উপর ‘ভয়াবহ’ রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া আদালতের নির্দেশে জোহানেসবার্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে স্টিলফন্টেইনের সোনার খনিতে উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ৭৮টি মৃতদেহ এবং ১৬৬ জন জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরো শত শত মানুষ এখনো ভূপৃষ্ঠের ২ কিলোমিটার নিচে আটকে আছে।  

আগস্ট মাস থেকে পুলিশ খনিতে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। ডিসেম্বরে একটি আদালত রায় দেয় যে স্বেচ্ছাসেবকরা খনি শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাতে পারবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের জাতীয় মুখপাত্র অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে বলেছেন, “আমাদের দায়িত্ব ছিল অপরাধ দমন করা এবং আমরা ঠিক এটাই করে আসছি। এই অবৈধ খনি শ্রমিকদের খাবার, পানি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করলে পুলিশ তাদের বিনোদন দেবে এবং অপরাধকে বিকশিত হতে দেবে।”

তবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পুলিশ এবং সরকারের সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকান ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়নস এক বিবৃতিতে বলেছে, “সাম্প্রতিক ইতিহাসে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইচ্ছাকৃত অবহেলার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রদর্শনের মধ্যে একটি এটি। এই খনি শ্রমিকদের, যাদের অনেকেই মোজাম্বিক এবং অন্যান্য দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ থেকে আসা অনিবন্ধিত এবং হতাশ শ্রমিক ছিলেন, তাদের মৃত্যুর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • ইউক্রেনের হামলা: নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রপ্তানি বন্ধ করল রাশিয়া
  • চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে
  • জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগ পাচ্ছে উষ্ণায়নে দায়ী দেশগুলো
  • মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম কমেছে
  • ভোলার গ্যাস ব্যবহারে সেখানেই শিল্পাঞ্চল গড়ার চিন্তা
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কমেছে ডিম ও মোটা চালের দাম
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কমেছে মোটা চাল ও ডিমের দাম
  • পেঁয়াজের দাম কমেনি, কেজিপ্রতি দাম ১০০–১২০ টাকা
  • ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের