কুমিল্লা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাদিমুল হাসান চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরতলীর কোটবাড়ি এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।

অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান সাবেক অধ্যক্ষ ইফতেখার আলম ভূঁইয়া। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই কাউসার আলম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ইফতেখার আলম ভূঁইয়াকে বলতে শোনা যায় ‘একদম চুপ, কান ফাটাইয়া ফেলমু, বের হ’। বেশ কয়েকবার থাপ্পড় নিয়ে তেড়ে যান ইফতেখার ও তাঁর ভাই কাউসার। আকস্মিক ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান অধ্যক্ষ ও উপস্থিত সবাই। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অনেকটা বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ বের হয়ে যান। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার একটি সিসিটিভি ফুটেজ এরই মধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইফতেখার আলম প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ ও জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরী শাখার সহসভাপতি।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে কুমিল্লার কোটবাড়িতে সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাতা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ইফতেখার আলম ভূঁইয়া অন্যতম। তিনি কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ পদেও নিয়োগ পান। ৪ বছরের মাথায় পরিচালনা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তিনি শেয়ারমানির ২৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেন। কিন্তু সরকার পতনের পর ইফতেখার আলম ও তাঁর ভাই কলেজ দখলে নিতে দফায় দফায় কলেজে যান। সর্বশেষ গত সোমবার তিনি লোকজন নিয়ে কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন। তবে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইফতেখার আলম ভূঁইয়া। তাঁর ভাষ্য, তিনি ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। 

২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনের নির্দেশে কলেজটি জবরদখল করা হয়েছিল। তিনি অধ্যক্ষের দপ্তরে গিয়ে উত্তেজিত হয়েছিলেন। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেননি।

কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ইফতেখার আলম ভূঁইয়া জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদে নেই। তবে পেশাজীবী সংগঠনের নেতা এবং জামায়াতের রাজনীতি করেন। ভাইরাল ভিডিওটি কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমিরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

কলেজের অধ্যক্ষ নাদিমুল হাসান বলেন, ‘আমার কক্ষে ওইদিন যা ঘটেছে, সব সিসিটিভি ফুটেজে আছে। এ জন্য আর সাক্ষ্য-প্রমাণ তদন্তের দরকার হয় না। আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এমন অশালীন আচরণ কোনো ভদ্র লোকের পক্ষে সম্ভব নয়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ঞ ছ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
  • আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি, সালমান শাহ ভক্তদের মানববন্ধন
  • পদ্মার চরে জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে জমি থেকে ৫ কোটি টাকার বালু চুরির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা