বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “শেখ হাসিনা ভুলে গিয়েছিলেন, উপরওয়ালা একজন আছেন। তার বিচার যে কতো কঠিন তার প্রমাণ হয়েছে গত ৫ আগস্ট। সেদিন শেখ হাসিনাকে গণভবনের তৈরি করা খাবার ফেলে ভুখা (ক্ষুধার্ত) অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। এটাই আল্লাহর বিচার।”

শনিবার (১৮ জানুয়ারি ) বিকেলে সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমদ শাহীনের উদ্যোগে সদর উপজেলার শেরপুর বাজারে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, “আল্লাহ যদি সম্মান দেয় কেউ আটকাতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছেন স্পেশাল প্লেনে আর হাসিনা পালিয়েছেন কার্গো প্লেনে। যে প্লেন পণ্য বহণ করে সেই প্লেনে হাসিনা পালিয়ে গেছেন।”

আরো পড়ুন:

ফ্যাসিস্টের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা করছে: সেলিমা রহমান

ঋণ খেলাপিদের মনোনয়ন দেবে না বিএনপি, ফখরুলের অঙ্গীকার 

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬ বছর বিএনপির আন্দোলনের ইতিহাস। আমাদের কর্মীদের হত্যা করার ইতিহাস। এই ১৬ বছর বাংলাদেশ ছিল একটা বড় জেলখানা। মানুষ কথা বলতে পারেনি। আনন্দে ঘুমাতে পারেনি। আমাদের কর্মীরা গাছে উঠে কোমরে গামছা বেধে ডালে ঘুমিয়েছিল। আজকে হাসিনা নেই। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। আমরা যদি মনে করি সব জয় হয়ে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। আরো কঠিন সময় সামনে বিএনপির জন্য অপেক্ষা করছে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসিনি। ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। ক্ষমতায় বিএনপি এসেছে মনে করলে ভুল করবেন। এমন ব্যবহার মানুষের সঙ্গে করবেন না যাতে মানুষ আহত হয় আর ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে তুলনা করে। একটা দল আল্লাহর দোহাই দিয়ে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বলে বেরাচ্ছে- আগে ছাত্রলীগ খেয়েছে। আবার আরেকদল খাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। আমরাও মুসলমান। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। কিন্তু আল্লাহকে নিয়ে রাজনীতি করি না। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।”

সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমদ শাহীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আলহাজ্জ্ব জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মুকিত, বকশি মিছবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিত, ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, জেলা ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন, কানাডা বিএনপির সদস্য গাজী কামাল।

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ র কম ট র আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১