লাখো তরুণীর হৃদয় ভেঙে বিয়ে করলেন দর্শন রাভাল
Published: 19th, January 2025 GMT
বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দর্শন রাভাল। ছবি প্রকাশ করে সুখবরটি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত থেকেই সামাজিকমাধ্যমে গায়কের বিয়ের ছবি ভাইরাল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন দর্শন। পাত্রীর নাম ধরল সুরেলিয়া। দর্শনের স্ত্রী পেশায় একজন আর্কিটেক্ট। পাশাপাশি তিনি একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার এবং উদ্যোক্তা। বিয়ের আগে থেকেই তাদের পরিচয় ছিল। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, এবার বিয়ে।
সামাজিকমাধ্যমে বিয়ের বেশকিছু ছবি শেয়ার করেছেন দর্শন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার সেরা বন্ধু চিরকাল।’ তার এই পোস্ট অনুরাগীদের মন কেড়েছে। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়ে দিয়েছেন তারা।
ছবিতে নবদম্পতিকে সাবেকি পোশাকে দেখা গেছে। প্রতিটি ছবিতেই তাঁদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝলক ও ভালোবাসার ছোঁয়া।
২০১৪ সালে রিয়্যালিটি শো ‘ইন্ডিয়াস র স্টার’-এ অংশ নেওয়ার পরই জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন দর্শন রাভাল। এরপর বলিউডে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘সনম তেরি কসম’, ‘তেরা সুরুর’, ‘লাভযাত্রী’, ‘মিত্রন’, ‘এক লড়কি কো দেখা তো আইসা লাগা’, ‘লাভ আজ কাল’, ‘লুডো’, ‘রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি’, ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’, ‘ইশক ভিশক রিবাউন্ড’সহ অসংখ্য সিনেমায় গান গেয়েছেন তিনি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’