৩ কোটি টাকা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ আরও যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
Published: 17th, November 2025 GMT
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। সেখানে ইতিমধ্যে আলোচনায় আছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা। মিস ইউনিভার্সের বার্ষিক বাজেট ১০০ মিলিয়ন ডলার। বিজয়ী হওয়ার পরবর্তী এক বছর মিস ইউনিভার্সের সব খরচ বহন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিযোগিতার বিজয়ী কী পান।
১.নগদ টাকা
মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলারের চেক দেওয়া হয়, টাকার অঙ্কে যা ৩ কোটির বেশি।
মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলারের চেক দেওয়া হয়, টাকার অঙ্কে যা ৩ কোটির বেশিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ইউন ভ র স
এছাড়াও পড়ুন:
৯১ বছর বয়সেও দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি
যৌবনে কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করবেন। শেষ বয়সে সেই অর্থে শান্তিতে দিন কাটাবেন। অধিকাংশ মানুষ জীবনকে এভাবে দেখতে ভালোবাসেন; কিন্তু তা সব সময় হয়ে ওঠে না। সিঙ্গাপুরের ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের জীবনেও সেই পরিকল্পিত জীবন জোটেনি। এই প্রবীণ বয়সেও তিনি দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে কাজ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্লগার লেইংয়ের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সিঙ্গাপুরের একটি শপিং মলের শৌচাগারে কাজ করছেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। ব্লগার জানান, ‘খুব বয়স্ক একজন মানুষকে এত খেটে কাজ করতে দেখে আমি তাঁর দুপুরের খাবারের জন্য কিছু টাকা দিলাম।’
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, লেইং ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কেমন আছেন, জানতে চাইলে বৃদ্ধ শান্ত স্বরে জানান, তিনি ভালো আছেন। তাঁর বয়স ৯১ বছর শুনে বিস্মিত হন লেইং। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘অসম্ভব! আপনি এখনো কাজ করছেন? ইউ আর দ্য ম্যান!’ এই বৃদ্ধের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
কাজের সময়সূচি জানতে চাইলে বৃদ্ধ জানান, ‘কাজ শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। ১২ ঘণ্টার পুরোটা সময় তিনি দাঁড়িয়ে কাজ করেন।’ কীভাবে এত সুস্থ থাকেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ খাবার খাই।’ ব্যায়াম করেন কি না, জানতে চাইলে সাদামাটাভাবে বলেন, ‘কখনো ব্যায়াম করিনি।’
ভিডিওটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন ভারতীয় অভিনেতা আর মাধবন। ভাইরাল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘ভিডিওটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।’ নেট ব্যবহারকারীদের অনেকে বৃদ্ধের অধ্যবসায় এবং লেইংয়ের সহমর্মিতার প্রশংসা করছেন।
একজন মন্তব্য করেন, ‘এটা দেখে চোখে পানি এসে গেল। কী অসাধারণ মানুষ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটাই তাঁর সুস্থ থাকার রহস্য—সক্রিয় থাকা, মানুষের সঙ্গে মেশা। সুখই আসল ব্যায়াম।’
সিঙ্গাপুরে শপিং মলের শৌচাগারের দেখভালের দায়িত্বে সাধারণত বয়স্ক কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে ৯১ বছর বয়সে দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজ করা রীতিমতো অবাক করার মতো। তিনি সিঙ্গাপুরের কোন শপিং মলে কাজ করেন বা তাঁর আয় কত ইত্যাদি জানা যায়নি।