গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
Published: 16th, November 2025 GMT
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই গায়িকা হিসেবে তুমুল সাড়া জাগিয়েছিলেন মৈথিলী ঠাকুর। সেই গায়িকা পেশার সঙ্গে এবার যোগ হলো নতুন পরিচয়। এখন তিনি পুরো দস্তুর শুধু গায়িকাই নন, একজন রাজনীতিক। সম্প্রতি ভারতের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এত অল্প বয়সে কীভাবে তিনি আলোচিত হলেন, সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে।
২০১৭ সালের কথা। সেবার রাইজিং স্টার প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৪–এ জায়গা পান। সেই থেকেই মৈথিলীকে আগামীর তারকা ধরা হয়। তারপর আর থেমে থাকেননি। একের পর এক গান দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বিহারের আলোচিত এই গায়িকা ২০২১ সালের দিকে বিহারের ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করতে থাকেন। যে কারণে সেই বছর তিনি বিহারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান যুব পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৈথিলী মূলত ভারতীয় ধ্রুপদি এবং লোকসংগীতের ওপর বেশি দক্ষতা। বিহারের ভাষা ছাড়াও তিনি হিন্দি, ভোজপুরিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করতে পারেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লোকসংগীতের গান দিয়ে। যে কারণে অল্প সময়েই তিনি ভারতের আলোচিত তরুণ সংগীতশিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন।
মৈথিলী ঠাকুর। শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেডুসা: ঘুমন্ত অবস্থায় যাকে মেরে ফেলা হয়েছিলো
গ্রিক পুরাণে মেডুসা ছিলেন একজন সুন্দরী নারী।কিন্তু পরবর্তীতে অভিশাপের কারণে সর্পকেশী দানবীতে পরিণত হন। মেডুসার কাহিনী গ্রিক পুরাণের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রগুলোর মধ্যে একটি। এটি শিল্প ও সাহিত্যে প্রতিশোধ, দুর্ভাগ্য এবং রূপান্তরের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
মেডুসা ছিলেন তিন বোনের মধ্যে একমাত্র মরণশীল। তাদের পিতা-মাতা ছিলেন সমুদ্র দেবতা ফোরসিস এবং কেটো।পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মেডুসা ছিলেন সোনালী চুলের এক অপূর্ব সুন্দরী কুমারী এবং দেবী এথেনার মন্দিরের একজন ধর্মযাজিকা। রোমান কবি ওভিডের ‘মেটামরফোসেস’ (Metamorphoses) অনুসারে, সমুদ্র দেবতা পসেইডন দেবী এথেনা মন্দিরের পবিত্র স্থানে মেডুসাকে ধর্ষণ করেন। পসেইডনকে শাস্তি না দিয়ে, অ্যাথেনা তার মন্দির অপবিত্র করার জন্য মেডুসাকে অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের ফলে মেডুসার সুন্দর চুল বিষাক্ত সাপে পরিণত হয় এবং তার দৃষ্টিতে জাদু ক্ষমতা আসে, যার মাধ্যমে যে কাউকে পাথরে পরিণত করা যেত।
আরো পড়ুন:
পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ আর পিঁপড়ার ওজন সমান!
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গ্রিক বীর পার্সিউস মেডুসাকে হত্যা করেছিলেন। সেরাইফোস দ্বীপের রাজা পলিডেক্টিসের নির্দেশে পার্সিউস এই অভিযানে যান। দেবতাদের সাহায্যে তিনি মেডুসাকে বধ করতে সক্ষম হন। হার্মিস তাকে একটি ধারালো তলোয়ার দেন এবং এথেনা একটি চকচকে ব্রোঞ্জের ঢাল দেন, যাতে পার্সিউস সরাসরি মেডুসার দিকে না তাকিয়ে ঢালে তার প্রতিচ্ছবি দেখে তাকে হত্যা করতে পারেন।
পার্সিউস ঘুমন্ত মেডুসার মাথা কেটে ফেলেন। মেডুসার শরীর থেকে তার দুই সন্তান, পাখাওয়ালা ঘোড়া পেগাসাস এবং দানব ক্রিসাওর বেরিয়ে আসে (কারণ মৃত্যুর সময় মেডুসা পসেইডনের সন্তানের গর্ভবতী ছিলেন)।
মেডুসার কাটা মাথাও তার ক্ষমতা হারায়নি। পার্সিউস তার শত্রুদের পাথরে পরিণত করতে এটি ব্যবহার করেছিলেন। পরে তিনি মাথাটি দেবী এথেনাকে উপহার দেন, যিনি এটি তার ঢালে স্থাপন করেন।
ঢাকা/লিপি