শুল্ক-কর প্রত্যাহারে ৭ দিনের আলটিমেটাম চট্টগ্রামের ফল ব্যবসায়ীদের
Published: 20th, January 2025 GMT
ফল জাতীয় পণ্যে নতুন করে আরোপ করা অতিরিক্ত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের ফল আমদানিকারক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার নগরের রেলওয়ে ফলমন্ডির সামনে এ মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতি। এ সময় তারা দাবি পূরণে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেন।
চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌহিদুল আলমসহ নেতারা বক্তব্য দেন। তারা জানান, বিভিন্ন ধরনের ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ও কর বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ডলার সংকটসহ বিভিন্ন বাধায় আগে থেকেই ফল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার। এর মধ্যে অতিরিক্ত ভ্যাট, এসডি এবং টিটিআই বসানোর কারণে এ ব্যবসায় ধস নামবে। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এনবিআর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত শুল্ক-কর প্রত্যাহার না করলে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন তারা। প্রয়োজনে সারাদেশের ফল আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব স্থলবন্দর থেকে আমদানি করা ফল ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নিজ বাড়িতে দম্পতিকে হত্যা করা হলো অথচ পুলিশ গত পাঁচ দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারল না। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান খান, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আলী হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। গত রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রধান দরজার চাবি খুঁজে পেয়ে খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রথমে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের ও রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুবর্ণা রায়ের লাশ তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর যোগেশ চন্দ্র রায়কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান শেষে তাঁদের সৎকার করা হয়। এ ঘটনায় দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।