জাতীয় পরিচয়পত্র টেম্পারিং, বাবাসহ ২ মেয়েকে কারাদণ্ড
Published: 30th, January 2025 GMT
ঝালকাঠিতে জাতীয় পরিচয়পত্র টেম্পারিং করে জন্মসাল পরিবর্তন করার অভিযোগে বাবা ও দুই মেয়েকে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র টেম্পারিং করে জন্মসাল ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ করে জন্ম নিবন্ধন পরিবর্তনকালে ঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকার সোহরাব হোসেন এবং তার দুই মেয়ে পপি আক্তার ও তামান্না আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, “তামান্না ও তার বাবা সরাসরি টেম্পারিংয়ের অপরাধ করেন, পপি আক্তার এতে সহায়তা করেন। এ অপরাধে আমলে নিয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এ বাবা সোহরাব হোসেন ও মেয়ে তামান্না আক্তারকে সাত দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পপি আক্তারকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।”
ঢাকা/অলোক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ