সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি তাহলে যে স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিতাড়িত করেছে সেই স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। তাই যে বিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ সংস্কারের কথা বলছেন, তারা দয়া করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ারি যুক্ত হন প্রধান অতিথি তারেক রহমান। কর্মশালায় মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানা বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবার আগে নির্বাচনই প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে তারাই সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবে, তাদেরকে শুরু করতেই হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদা করবে যে, তারা সুযোগ পেলে এই সব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে, যেটাই হোক না কোনো এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। একটিই পথ, জনগণের নির্বাচন, জনগণের নির্বাচন।

তারেক রহমান বলেন, জবাবদিহিতার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে, সেটি জাতীয় নির্বাচন কিংবা যে নির্বাচনই হোক। আমরা যদি দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই, আমরা যদি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কাজ শুরু করতেন চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করতে হবে। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করব, তত দ্রুত আমরা পরিবর্তনের কাজ শুরু করতে পারব। যত দ্রুত আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে পারব, তত দ্রুত আমরা দেশকে আরও ধ্বংস হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন দ র ত আমর জনগণ র যত দ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দেশের ওপর নেমে আসা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঠেকানোর একমাত্র শক্তি হলো জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চা।”

তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র রুখতে পারে এই গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস।”

আরো পড়ুন:

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

হাদির ওপর আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ: বিএনপি

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির ছয় নম্বর দিনের আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, “আজ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তার আগে চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর ওপরও হামলা হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা এসব ঘটনার সুযোগ নিতে চাইবে। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে দেশের মানুষ—গণতন্ত্রের চর্চা।”

তিনি ছাত্রদল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আজ সারা দিন তোমরা যা শিখেছো, তা নিজেদের মধ্যে রাখবে না। এগুলো দেশের মানুষের জন্য কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হলে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতন্ত্রের মূলবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনে তোমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।”

কর্মসূচিতে ছাত্রদের বিভিন্ন কর্মকৌশল, প্রাথমিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা এবং আইটি সেক্টরে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।”

তারেক রহমান বলেন, “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বড় পরিবর্তন আসে। আইটির ক্ষেত্রে তোমরা কীভাবে অবদান রাখতে পার, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “চিকিৎসা পাওয়া একটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো এই অধিকার নিশ্চিত করা।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও আলোচনায় অংশ নেন।

ঢাকা/আলী/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যেকোনো মূল্যে হতে হবে নির্বাচন : তারেক রহমান
  • অনেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে, ষড়যন্ত্র ভয়াবহ রূপ নিতে পারে: তারেক রহমান
  • হাদির ওপর হামলা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত: বিএনপি
  • ওসমান হাদিকে গুলি: সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন 
  • ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে দলগুলোর সাড়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
  • ইবিতে হাদি হামলায় মহাসড়ক অবরোধ
  • নির্বাচন না হওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে: আমীর খসরু
  • ষড়যন্ত্র রুখতে পারে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস: তারেক