ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে আটক করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএসএফ জানায়, ভারত-বাংলাদেশের সোনা মসজিদ-মাহাদিপুর সীমান্তের কাছে গরু পাচারের সময় মঙ্গলবার ভোরে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওই চার বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিএসএফের ৮৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। 

বিএসএফ জানায়, পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হাবিবপুর থানা এলাকায় ইটাঘাটি বিএসএফ ক্যাম্পের ডিউটিতে থাকা জওয়ানরা দেখেন ভোরবেলা ঘন কুয়াশার মধ্যে কিছু মানুষ সীমান্ত পার করে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। জওয়ানরা সতর্ক অবস্থায় সীমান্তের দিকে এগিয়ে গেলে পাচারকারীরা উপায়ান্তর না দেখে পালানোর চেষ্টা করে। পরে গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। 

আটকের পর চারজনকে মঙ্গলবার মালদার হাবিবপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। 

পুলিশ জানায়, আটক সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধ পশু পাচারের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল তারা। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বুধবার (২২ অক্টোবর) দিন শেষে ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। 

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহাবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশ‌মিক ০৮ বিলিয়ন ডলার।

আরো পড়ুন:

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’

আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রবাসী আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ বাড়ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার ক্রয় করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ