সোনারগাঁয়ে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি হাজী মো.

শফি উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।

উপজেলা যুবদল নেতা হারুন অর রশিদ ও আসিফ ভূঁইয়া সুজনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নূর এ ইয়াছিন নোবেল, বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি গাজী মো. হারুনুর অর রশিদ, সোনারগাঁ  উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক হাজী মো. মোক্তার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, সোনারগাঁ উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তির জন্য দোয়া করার পাশাপাশি জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন একাংশের নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার অক্সিজেন–খাগড়াছড়ি সড়কের চৌধুরীহাট ও সরকারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকায় শহরগামী লোকজন বিপাকে পড়েন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারী আসনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলালকে প্রার্থী ঘোষণা করে দল। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হকের অনুসারীরা ফতেয়াবাদ স্কুলের সামনে সড়কের পাশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী। এতে বক্তারা বলেন, এস এম ফজলুল হক দলের দুর্দিনে নেতা–কর্মীদের পাশে ও রাজপথে ছিলেন। তাই তাঁকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ইলিয়াস আলী, বিএনপি নেতা মির্জা শহীদুল্লাহ বাবুল, জাকের হোসেন, মীর কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মহসিন, মো. খায়রুন্নবী প্রমুখ।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে আসা লোকজনকে বাধা দেওয়ায় সমাবেশ শেষে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতা–কর্মীরা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ইলিয়াস আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে বাধা, মারধর করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা সড়কে বসে পড়েন। শান্ত হাটহাজারীকে অশান্ত করতে লেগে আছে তারা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ বিকেল চারটার দিকে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন এস এম ফজলুল হকের অনুসারীরা। সেখানে যোগ দিতে উপজেলার সরকারহাট, মির্জাপুরসহ উত্তর হাটহাজারী থেকে আসা নেতা–কর্মীদের মিরেরহাট এলাকায় বাধা দেওয়া হয়। ভাঙচুর হয় গাড়ি। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা সরকারহাট গিয়ে সেখানে সড়ক অবরোধ করেন। ফতেয়াবাদ ও সরকারহাটে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচ পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

জানতে চাইলে এস এম ফজলুল হকের অনুসারী হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য বিক্ষোভ মিছিল শুরু করি ফতেয়াবাদে। কিন্তু সরকারহাটসহ উত্তর দিক থেকে আসা নেতা–কর্মীদের মিরেরহাট এলাকায় মীর হেলালের অনুসারীরা বাধা দেন। ভাঙচুর করা হয় আটটি গাড়ি। পাথরের আঘাতে আহত হন শতাধিক কর্মী।’

জানতে চাইলে হাটহাজারী থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে কেউ দাবি জানাতে পারেন। আমার ছেলেরা কাউকে মারধর কিংবা বাধা দেয়নি। সব ভিত্তিহীন।’

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ফতেয়াবাদ ও সরকারহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ