বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা (তালিকা)
Published: 4th, February 2025 GMT
ফতুল্লার নিরব রায়হানকে আহ্বায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জের মোহাম্মদ জাবেদ আলমকে সদস্য সচিক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা’ এর ১৯২ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আগামী আরিফ সোহেল ছয় মাসের এ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন।
এতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জুনায়েদ আহমেদ আকাশ (রূপগঞ্জ), যুগ্ম আহ্বায়ক ফারদিন শেখ (সদর), মো: পিয়াল (আড়াইহাজার), এমাদ উদ্দিন (মাদানীনগর মাদরাসা), শাকিল সাইফুল্লাহ (সোনারগাঁ), আমিনুল ইসলাম (সদর), মেহরাব হোসেন প্রভাত (সিদ্ধিরগঞ্জ),
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মো: রিফাত হোসেন অন্তু (বন্দর), যুগ্ম সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম (ফতুল্লা) মো: অনিক (সোনারগাঁ), আব্দুল মমিন সরকার তন্ময় (সিদ্ধিরগঞ্জ), নাফিসা আক্তার (সদর), ইফতেখার ভূঁইয়া রিদ্বীন (রূপগঞ্জ), মাকসুদা আক্তার শ্রাবন্তী (রূপগঞ্জ), শরৎ সাহা (সদর), ইমন আহম্মেদ (সিদ্ধিরগঞ্জ), নাজমুল শাহাদাত মুন্না (রূপগঞ্জ), ফারদিন ইসলাম রোহান (বন্দর), মোখলেছুর রহমান স্বজন (সোনারগাঁ), ফাহিম আদনান (রূপগঞ্জ), মারুফুল ইসলাম (সিদ্ধিরগঞ্জ), মেহেদী হাসান অন্তর (ফতুল্লা) রয়েছেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, ‘আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব সময় তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব।
১৯২ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির তালিকা :
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ র পগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম, সেটা জামায়াতে ইসলাম না : মনির হোসাইন কাসেমী
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক ইসলামী দলের প্রার্থী জান্নাতের টিকেট দেয়, কেউ কেউ আবার রোজা ও পুজা এক করে ফেলে।
কেউ কেউ গিয়ে মন্দিরে গীতা পাঠও করে। পাল্লা ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। কিন্তু সেই পাল্লাতেই আবার নিচ দিয়ে একটা বাটখারা দিয়ে ১ কেজির স্থলে ৮০০ গ্রাম ফল দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
পাল্লা আমরা পছন্দ করি, কিন্তু ৮০০ গ্রামের পাল্লাকে সাপোর্ট করি না। আমরা ইসলামকে সাপোর্ট করি, ইসলাম আমার প্রাণের স্পন্দন,ইসলামের জন্য মরতে পারি। কিন্তু সেই ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম। সেটা জামায়াতে ইসলাম না। আমরা ৮০০ গ্রামের জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করি না। তাদের ভোট দেয়াও জায়েজ না।
শুক্রবার বিকেলে কাসেমী পরিষদের উদ্যোগে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি মাওলানা মোফাজ্জল বিন মাহফুজ প্রমুখ।
মনির কাসেমী আরো বলেন, যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাঁদাবাজি, জবর-দখল, সন্ত্রাসী কাজ করেনি, তাদের গাঁয়ে কোন আচঁর লাগতে দেবো না। তবে অপরাধী যদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে বাঁচতে দেবো না। সে যে দলেরই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধুমাত্র দলীয় পরিচয়ের কারনে কোন নিরিহ মানুষকে হয়রানি যেনো না হতে হয়।
গডফাদার শামীম ওসমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের এমপি আমাদের ফতুল্লায় থাকতেন না। তাই সমস্যা সমাধান করেননি। বড় বড় কথা বলেছেন, কিন্তু কাজ করেননি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পুরো ফতুল্লা আজ পানিতে তলিয়ে যায়।
আমি যদি আপনাদের ভোটে জিততে পারি তাহলে আগামি ৫ বছরে জলাবদ্ধতা, গ্যাস, বিদ্যুৎ এর সমাধান করবো। সমাধান করতে না পারলে এখানেই থাকবো।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ৫৫ বছর দেখেছেন, কোন সময়েই এভাবে আলেম ওলামারা আসেনি। একটিবারের জন্য আলেমদের বিশ্বাস করে দেখেন, দেখবেন আগামি ৫ বছরে ৫৫ বছরে যা হয়নি তা হবে। আগামি ৫ বছরে এ এলাকার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
জমিয়িতে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি দলবল নিয়ে পালিয়েছেন। আমরা যাকে প্রার্থী দিয়েছি তিনি পালাবেন না৷ তিনি উন্নয়ন করবেন।
মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, মনির কাসেমী যদি জিততে পারেন তাহলে এই অঞ্চলে সমস্যা থাকবে না। নাগরিক সমস্যা থাকবে না।
কামাল উদ্দিন দায়েমী বলেন, আগামি নির্বাচনে আমরা সৎ এবং যোগ্য ব্যাক্তিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। তিনি নির্বাচিত হন তাহলে ফতুল্লার উন্নয়ন হবে।
যারা আগে গলা ফাঁটিয়ে বক্তব্য দিয়েছিল, খেলা হবে বলেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আসল খেলা আমরা মনির কাসেমীকে নিয়ে খেলতে চাই। তিনি নির্বাচিত হলে আগামি ৫ বছরে ২০ বছরের কাজ হবে।
মুফতি হারুন বলেন, আমরা ইসলামিক দলগুলোর এমন কিছু প্রার্থী দেখি যারা রোজা আর পূজা এক পাল্লায় মাপে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। আমরা তেমন ইসলামিক দলের প্রার্থী কে দেখতে চাই না। আমরা কালোকে কালো আর সাদা কে সাদা বলতে চাই।