গণ–অভ্যুত্থানের ৬ মাস: আংশিক সহায়তা পেয়েছে ৮১% শহীদ পরিবার, আহতদের ২৩%
Published: 8th, February 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ৮১ শতাংশ শহীদের পরিবার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আংশিক আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আংশিক সহায়তা পেয়েছে ২৩ শতাংশ। এখনো তিন শতাধিক আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বাড়িতে থাকা আহত ব্যক্তিদের একটি অংশের মধ্যে অসন্তুষ্টি আছে। মাঝেমধ্যেই এই অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে।
রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীরা ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দুই দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরদিন আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন রোগীরা প্রথমে শ্যামলী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং মধ্যরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে উপস্থিত হন।
আহত ব্যক্তিদের দাবির মধ্যে ছিল আহত ব্যক্তিদের ইউরোপে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, বিনা মূল্যে যাতায়াত সুবিধা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ব্যবহারের অনুমতি এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ঢাকায় নির্ধারণ করা।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় সম্মান–স্বীকৃতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন।
বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন আহত ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যাপারে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাজগুলো ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছে।’
* জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ৮৪৪ জন। আহত ১৩ হাজার ২৫৮। * শহীদ পরিবারকে দুই কিস্তিতে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। * আহতদের চার শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। অতিগুরুতররা ভাতা পাবেন।শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের তালিকাসহ ডেটাবেজ তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম। এতে প্রত্যেকের জন্য একটি আইডি (পরিচয় শনাক্তকরণ) নম্বর আছে। হাসপাতালের কাগজ, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যয়নের পর শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজ হবে বা হচ্ছে এই তালিকা ধরে।
পুনর্বাসন শুরু হতে বাকিজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, ৮৪৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬৮৬ পরিবারকে অর্থাৎ ৮১ শতাংশ পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছু পরিবারে শহীদের পক্ষে কে টাকা গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তাই টাকা দেওয়াও বন্ধ আছে।
এ ছাড়া আহত ১৩ হাজার ২৫৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ২৫ জনকে অর্থাৎ ২৩ শতাংশ আহত ব্যক্তিকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে (এই হিসাব ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের সব ধরনের কাজ পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি পৃথক অধিদপ্তর থেকে। এ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগির অধিদপ্তর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। অধিদপ্তরকে ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবার পাবে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। জুলাই মাসে দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।
তবে আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের কাজটি এখনো শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থানের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ছাড়াও বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার আহত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি তথ্য (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা) ও একটি ছবি চাওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৯০০ জন এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন।
অতিগুরুতর আহতরা ভাতা পাবেনওয়েবসাইটে দেওয়া খসড়া হিসাবে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সারা দেশে ১৩ হাজার ২৫৮ জন আহত হয়েছেন। তালিকায় থাকা আহত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে বিনা মূল্যে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাঁদের খরচ সরকার ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গণ–অভ্যুত্থানে ৪০০ জন এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে ২১ জনের। এক হাত ফেলে দিতে হয়েছে সাতজনের।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.
যাঁরা পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন তাঁদের অতিগুরুতর (এ শ্রেণি) হিসেবে চিবেচনা করা হচ্ছে। তাঁরা সারা জীবন অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারবেন না। সরকার তাঁদের ভাতা দেবে। গুরুতর আহত ব্যক্তিরা (বি শ্রেণি) নিজে কাজ করে চলতে পারবেন। তাঁদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। তাঁদের কেউ কাজের উপযুক্ত হয়ে না উঠলে তাঁকেও ভাতা দেওয়া হবে। বাকি আহত ব্যক্তিদেরও প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার।
কেউ টাকা ফেরত পাননিসরকারি হাসপাতালে সবার চিকিৎসা হয়েছে বিনা মূল্যে। কিন্তু জুলাই ও আগস্টে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকার বলেছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তি ব্যয়ের উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে চিকিৎসা খরচের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মো. ইকবাল হোসেন ১৭ জুলাই রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় আহত হন। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইকবাল হোসেন জানান, চিকিৎসা বাবদ তাঁর ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসা ও চিকিৎসা ব্যয়ের কাগজপত্র তিনি জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সেই টাকা এখনো ফেরত পাননি।
বৃহস্পতিবার গণ–অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলে গিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসা ব্যয় ফেরত চেয়ে সেদিন পর্যন্ত ১৩৫ জন আবেদন করেছেন। ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা জানালেন, সেদিন পর্যন্ত একজনকেও কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করছে বলে জানান তাঁরা।
বিদেশে চিকিৎসা, বিদেশি চিকিৎসকউন্নত চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৩০ জন আহত ব্যক্তিকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। এ সপ্তাহে একজনের চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় যাওয়ার কথা আছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও নেপাল থেকে চিকিৎসক এসে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন ও অস্ত্রোপচার করেছেন।
সর্বশেষ সিঙ্গাপুর থেকে পাঁচজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ ঢাকায় এসেছিলেন। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি সরকারি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি বাংলাদেশ আই হসপিটালে আহত ২৭৮ জনের চোখ পরীক্ষা করেছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা বলেছেন, আমাদের চিকিৎসা ঠিক আছে। আটজনের ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন, বিদেশে নিলে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা আছে।’ এই আটজনকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
বিভিন্ন হাতপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৩০৯ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০৩ জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ৯৮ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৩৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৪৪ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন এবং জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১ জন। এ ছাড়া সাভারের সিআরপিতে ১৯ জন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক গজপত র ব সরক র জন আহত র জন য ন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বিএনপির দুই নেতাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার রাতে তাঁদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়।
তবে আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক অপরজন হলেন উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পারভেজ আহমেদ।
এ বিষয়ে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) ফারুক বলেন, ওই দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ থাকায় আটক করা হয়েছে। হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পারভেজ আহমেদ এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গাজীপুর জেলা বিএনপি সম্প্রতি কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভা ও জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে। এরপর তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি। গত শনিবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় মৌচাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদারকে এবং সদস্যসচিব করা হয় এম আনোয়ার হোসেনকে। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় মামুদ সরকারকে এবং সদস্যসচিব করা হয় মহসিন উজ্জামানকে। দুই কমিটিতে মোট ৪১ জন সদস্য রয়েছেন।
পৌর বিএনপির কমিটি নিয়ে আপত্তি না থাকলেও উপজেলা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁরা শনিবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পারভেজ আহমেদের পক্ষে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একই সময় নতুন কমিটির পক্ষ থেকেও একটি মিছিল বের হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুনকালিয়াকৈরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া২১ ঘণ্টা আগেপরে গতকাল রাতে কালিয়াকৈর থানা ও গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে সাহেববাজার এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিন এবং হিজলতলী এলাকা থেকে পারভেজ আহমেদকে আটক করা হয়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, ‘আটকের বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। সম্ভবত রাতে একটি অভিযোগ হয়েছে। বিস্তারিত অভিযোগ দেখে বলা যাবে।’
গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ছাড়া পেয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, কালিয়াকৈর বিএনপির মধ্যে কিছু খারাপ লোক রয়েছে, যারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। তাঁরা এখন তিন বছর ধরে রাজনীতিতে আসা এক নেতার আশ্রয় নিয়েছেন। এতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।