জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ৮১ শতাংশ শহীদের পরিবার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আংশিক আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আংশিক সহায়তা পেয়েছে ২৩ শতাংশ। এখনো তিন শতাধিক আহত ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বাড়িতে থাকা আহত ব্যক্তিদের একটি অংশের মধ্যে অসন্তুষ্টি আছে। মাঝেমধ্যেই এই অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীরা ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দুই দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরদিন আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন রোগীরা প্রথমে শ্যামলী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং মধ্যরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে উপস্থিত হন।

আহত ব্যক্তিদের দাবির মধ্যে ছিল আহত ব্যক্তিদের ইউরোপে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, বিনা মূল্যে যাতায়াত সুবিধা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ব্যবহারের অনুমতি এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ঢাকায় নির্ধারণ করা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় সম্মান–স্বীকৃতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন।

বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন আহত ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যাপারে সরকারের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাজগুলো ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছে।’

* জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ৮৪৪ জন। আহত ১৩ হাজার ২৫৮। * শহীদ পরিবারকে দুই কিস্তিতে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। * আহতদের চার শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। অতিগুরুতররা ভাতা পাবেন।

শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের তালিকাসহ ডেটাবেজ তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম। এতে প্রত্যেকের জন্য একটি আইডি (পরিচয় শনাক্তকরণ) নম্বর আছে। হাসপাতালের কাগজ, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যয়নের পর শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজ হবে বা হচ্ছে এই তালিকা ধরে।

পুনর্বাসন শুরু হতে বাকি

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, ৮৪৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬৮৬ পরিবারকে অর্থাৎ ৮১ শতাংশ পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছু পরিবারে শহীদের পক্ষে কে টাকা গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তাই টাকা দেওয়াও বন্ধ আছে।

এ ছাড়া আহত ১৩ হাজার ২৫৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ২৫ জনকে অর্থাৎ ২৩ শতাংশ আহত ব্যক্তিকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে (এই হিসাব ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত)।

অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের সব ধরনের কাজ পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি পৃথক অধিদপ্তর থেকে। এ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগির অধিদপ্তর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। অধিদপ্তরকে ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবার পাবে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। জুলাই মাসে দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

তবে আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের কাজটি এখনো শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থানের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ছাড়াও বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার আহত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি তথ্য (শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা) ও একটি ছবি চাওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৯০০ জন এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন।

অতিগুরুতর আহতরা ভাতা পাবেন

ওয়েবসাইটে দেওয়া খসড়া হিসাবে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সারা দেশে ১৩ হাজার ২৫৮ জন আহত হয়েছেন। তালিকায় থাকা আহত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে বিনা মূল্যে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাঁদের খরচ সরকার ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গণ–অভ্যুত্থানে ৪০০ জন এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে ২১ জনের। এক হাত ফেলে দিতে হয়েছে সাতজনের।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.

সায়েদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের চারটি ভাগে ভাগ করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এই চার শ্রেণি হবে এ, বি, সি ও ডি। অতিগুরুতর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৩৪। গুরুতর আহত ৮০০। এ ছাড়া মোটামুটি আহত তিন হাজার এবং সামান্য আহত সাত হাজার। এই সংখ্যার হেরফের হতে পারে।

যাঁরা পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন তাঁদের অতিগুরুতর (এ শ্রেণি) হিসেবে চিবেচনা করা হচ্ছে। তাঁরা সারা জীবন অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারবেন না। সরকার তাঁদের ভাতা দেবে। গুরুতর আহত ব্যক্তিরা (বি শ্রেণি) নিজে কাজ করে চলতে পারবেন। তাঁদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। তাঁদের কেউ কাজের উপযুক্ত হয়ে না উঠলে তাঁকেও ভাতা দেওয়া হবে। বাকি আহত ব্যক্তিদেরও প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার।

কেউ টাকা ফেরত পাননি

সরকারি হাসপাতালে সবার চিকিৎসা হয়েছে বিনা মূল্যে। কিন্তু জুলাই ও আগস্টে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকার বলেছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তি ব্যয়ের উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে চিকিৎসা খরচের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মো. ইকবাল হোসেন ১৭ জুলাই রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় আহত হন। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইকবাল হোসেন জানান, চিকিৎসা বাবদ তাঁর ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসা ও চিকিৎসা ব্যয়ের কাগজপত্র তিনি জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সেই টাকা এখনো ফেরত পাননি।

বৃহস্পতিবার গণ–অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলে গিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসা ব্যয় ফেরত চেয়ে সেদিন পর্যন্ত ১৩৫ জন আবেদন করেছেন। ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা জানালেন, সেদিন পর্যন্ত একজনকেও কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করছে বলে জানান তাঁরা।

বিদেশে চিকিৎসা, বিদেশি চিকিৎসক

উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৩০ জন আহত ব্যক্তিকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। এ সপ্তাহে একজনের চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় যাওয়ার কথা আছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও নেপাল থেকে চিকিৎসক এসে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন ও অস্ত্রোপচার করেছেন।

সর্বশেষ সিঙ্গাপুর থেকে পাঁচজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ ঢাকায় এসেছিলেন। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি সরকারি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি বাংলাদেশ আই হসপিটালে আহত ২৭৮ জনের চোখ পরীক্ষা করেছেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা বলেছেন, আমাদের চিকিৎসা ঠিক আছে। আটজনের ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন, বিদেশে নিলে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা আছে।’ এই আটজনকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

বিভিন্ন হাতপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৩০৯ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০৩ জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ৯৮ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৩৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৪৪ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন এবং জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১ জন। এ ছাড়া সাভারের সিআরপিতে ১৯ জন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক গজপত র ব সরক র জন আহত র জন য ন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি

কিছুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, ভেঙে যাচ্ছে ভারতীয় তারকা দম্পতি মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালির ১৪ বছরের সংসার। এ খবর চাউর হওয়ার পরও নীরব ছিলেন এই দম্পতি। এর কিছুদিন পর খবর রটে, বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি রুপি খোরপোষ দাবি করেছেন। এ নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যেমন জোর চর্চা চলছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াও সয়লাব। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী মাহি ভিজ।    

এ পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙেছেন ‘বালিকা বধু’খ্যাত মাহি ভিজি। একটি ভিডিও বার্তায় এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি কোথাও পড়েছি, আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি, এখন আমাকে সেই কাগজ দেখান। আমরা যতক্ষণ না নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আপনারা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার রাখেন না। আমি জানি, আমরা পাবলিক ফিগার। কিন্তু আমরা যা বলতে চাই, শুধু সেটাই বলব। বাড়িতে আমার অসুস্থ মা আর তিনটি সন্তান আছে। যার মধ্যে দুইজন এখন সবকিছু বোঝে। এমনকি, খুশি (কন্যা) আমাকে মেসেজ করে বলেছে, ‘মা, এসব কী হচ্ছে! ওরা কেন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাচ্ছে?’ এসব নিয়ে বাচ্চারা স্কুলেও প্রশ্নের মুখে পড়ছে।” 

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে ধর্মেন্দ্র

মধ্যরাতে শাহরুখের বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড়

খোরপোষের বিষয়ে ক্ষুব্ধ মাহি ভিজ বলেন, “আমাদের বাঁচতে দিন। আমরা তারকা বলেই সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে, এমন নয়। কেউ লিখেছে, ‘আমি নাকি ৫ কোটি রুপি খোরপোষ চেয়েছি।’ আমি বা জয় কি এটা বলেছি? যখন প্রমাণ হাতে পাবেন, তখন কথা বলবেন। আমি তো ঠিকমতো জানিই না খোরপোষ কী!”  

খানিকটা ব্যাখ্যা করে খোরপোষের বিষয়ে মাহি ভিজ বলেন, “আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে, তবে বিচ্ছেদের পর সেই অর্থে স্ত্রীর কোনো অধিকার নেই। খোরপোষ তখনই যুক্তিযুক্ত, যখন কোনো নারী সারাজীবন গৃহবধূ হিসেবে থেকেছেন এবং কখনো কাজ করেননি। কোনো নারী যদি কাজ করতে পারেন, তবে নিজেরই উপার্জন করা উচিত।” 

স্বামীর প্রশংসা করে মাহি ভিজ বলেন, “এ বিষয়ে আমার মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত কোনো কিছু বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। অনুরোধ করছি, আমাদের একা থাকতে দিন। যদি মনে করি কিছু জানাতে হবে, আমরা নিজেরাই বলব। জয় আমার পরিবার, সে সবসময় আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য দারুণ বাবা এবং একজন অসাধারণ মানুষ।” 

২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালি। খুব ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির ‘তারা’ নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে রাজবীর ও খুশি নামে দুই সন্তান দত্তক নেন এই দম্পতি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকদের জন্য নিউইয়র্ক টাইমসের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫