অধিদপ্তর পরিচালনায় সৃষ্টি হচ্ছে ৩৩টি পদ
Published: 9th, February 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর পরিচালনায় ৩৩টি পদ সৃষ্টি করছে সরকার। একই সঙ্গে আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুযায়ী, সাতজনকে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) অতিরিক্ত পরিচালকের ৩০টি এবং যুগ্ম পরিচালকের ২৫টি সুপারনিউমারারি (নির্দিষ্ট সংখ্যার অতিরিক্ত) পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ সৃষ্টির প্রস্তাব আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে উঠবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে সহায়তা, আহতদের পুনর্বাসনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করবে এটি। এই অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৬৩টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪১টি পদ সৃষ্টির সম্মতি দেয়। অর্থ বিভাগ রাজস্ব খাতে ৩৩টি পদ সৃষ্টির সম্মতি দিয়েছে এবং বেতন স্কেল নির্ধারণ করেছে। সচিব কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাবে। প্রধান উপদেষ্টা ড.
এনএসআইয়ের পদ
এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালকের ৩০টি এবং যুগ্ম পরিচালকের ২৫টি পদসহ মোট ৫৫টি সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেন, পদোন্নতিবঞ্চিত ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পদ ফাঁকা না থাকায় সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পদ সৃষ্টির পর বঞ্চিত ও যোগ্য কর্মকর্তারা এসব পদে পদোন্নতি পাবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগ ৫৫টি সুপারনিউমারারি পদের মধ্যে অতিরিক্ত পরিচালকের ৩০টি গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে এবং যুগ্ম পরিচালকের ২৫টি পদ ২০১৯ সালের ২৬ মে থেকে ভূতাপেক্ষভাবে সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এসব পদ রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগে ৩৫টি নতুন ক্যাডার পদ
বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের জন্য স্থায়ীভাবে ৩৫টি ক্যাডার পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ। ময়মনসিংহ জেলা শ্রম আদালত গঠনের জন্য আটটি এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের জন্য তিনটি পদ সৃজন হচ্ছে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের সিকিউরিটি অফিসার পদের পদনাম পরিবর্তন করে সহকারী পরিচালক নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন পদ স ষ ট র র জন য পর চ ল ম পর চ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ মির্জা ফখরুলের
গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণসংযোগের সময় দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান রাখেন তিনি।
শেখ হাসিনার শাসন আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাকস্বাধীনতা হরণ ও ভোট চুরিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
হাসিনা-রেহানাসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১২ মে
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের ঘরে থাকতে দেননি আপনি। আমরা তো কোথাও পালিয়ে যাইনি। আদালতে মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে ফেইস (মোকাবিলা) করেছি। উকিল ধরে জামিন নিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনিও মামলা লড়েন। আপনি দেশে এসে দাড়ান না দেখি।”
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা অনেকে মনে করেন শেখ হাসিনা আবারো দেশে ফিরে আসবেন। তিনি তো ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। তার তো দেশ থেকে পালানোর কথা ছিল না। তিনি পালালেন কেন? কারণ তিনি একজন ডাইনি ছিলেন। জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন যে, তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি সেদিন তাকে পেত, তাহলে ছিঁড়ে খেত।”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে আমাদের কিছু করতে হবে না, জনগণই তাকে দেখে নেবে।”
আওয়ামী লীগের শাসনামলের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করে; এতে মানুষ ভালোবাসবে না। দলের কোনো নেতাকর্মীরা অন্যায় করলে যেন জেলার নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করেন; তারা যেন অন্যায়কারীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাই অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে।”
ত্রোদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দৃষ্টি রেখে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলসহ দলটির শীর্ষ নেতারা সভা-সমাবেশ করছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা, না রাখা নিয়ে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে; সেই সঙ্গে আইনি ঝক্কিও সামনে আসছে।
গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া কয়েক শত ফৌজদারি মামলায় তিনি আসামি। অনেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে ভারতের আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর কোনো নিশ্চয়তা এখনো তৈরি হয়নি।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ছোট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সেদেশে উচ্চনিরাপত্তা শৃঙ্খলে বসবাস করছেন বলে আন্তর্জাতিক সাংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়ে থাকে। সেখান থেকে দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনলাইনে তার কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে অস্বস্তির কথা ভারতকে জানিয়ে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ