বাবুল চিশতীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 10th, February 2025 GMT
ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর স্ত্রী মোছা. রোজী চিশতীর জামিন বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সোমবার এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। এদিন বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে, রোজী চিশতী অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে তারিকুল ইসলাম সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৫ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ২৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বাবুল চিশতী ও রোজী চিশতীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ব ল চ শত চ শত র পর য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেবে গেছে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ, আতঙ্কে মানুষ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থান দেবে গেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বারবার একই চিত্র, সরকার যেন দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেয়। নদী ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে হাজারো মানুষের।
সরেজমিনে রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের মাছঘাট সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে দেবে গেছে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের একাধিক অংশ। অন্তত ১৫-২০টি জায়গায় ব্লকের নিচের মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। কমলনগরের মাতাব্বরহাট ও লুধুয়া এলাকাতেও একই অবস্থা। বাঁধের সুরক্ষায় থাকা ব্লকগুলো সরে গিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে। নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যেই একাধিকবার ধসে পড়েছে বাঁধটি। মেঘনার ভাঙনে এখন পর্যন্ত জেলার ২৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত এক লাখ মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, পুরাতন এই বাঁধটি বর্ষা এলেই ঝুঁকির মুখে পড়ে। এবার মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার এবং স্রোতের তোড়ে বাঁধে বড় ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত বাঁধ সংস্কার না হলে রামগতি বাজারসহ আশপাশের জনবসতিতে ঢুকে পড়বে নদীর পানি।
আরো পড়ুন:
পানি কমতে শুরু করেছে কাপ্তাই হ্রদের
৫ আগস্ট চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে: বাঁধন
স্থানীয় বাসিন্দা উষা রাণী বলেন, “চারবার বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘরের কাছেই ব্লক পড়তেছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না, কখন পানি ঢুকে যায় এই ভয় থাকি।”
মেঘনা নদী পাড়ের ইউসুফ নামে এক বাদাম বিক্রেতা জানান, “প্রতিদিনই ফাটল বড় হচ্ছে, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। এই বাঁধ না থাকলে তো ঘরবাড়ি সব চলে যাবে।”
অপর বাসিন্দা আবদুল মতিন বলেন, “যেখানে ব্লক দেবে গেছে, সেখানে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো বাঁধ ধসে পড়তে পারে। আমাদের বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
সালেহা বেগম বলেন, “প্রতিবার বর্ষা এলেই ভয় পাই, এবার তো বাঁধই ভেঙে যাচ্ছে। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।”
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, “নতুন ভাঙনের পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন স্থানে রিপেয়ারিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে, যাতে টেকসই সমাধানের ব্যবস্থা করা যায়।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ