মুজিবুর রহমান স্বর্ণপদক পেলেন ঢাবির ৬ শিক্ষার্থী
Published: 19th, February 2025 GMT
২০২২ সালে বিএস (সম্মান) ও এমএস পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ এবং ফলিত গণিত বিভাগের ছয়জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘এ এফ মুজিবুর রহমান স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাবির গণিত বিভাগ ও ফলিত গণিত বিভাগ এ আয়োজন করেছে।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাপলা শিরিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় গণিতের বড় ভূমিকা রয়েছে। গণিতকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় ও বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে হবে। গণিত ভীতি দূর করতে এ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যালামনাইসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।”
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গণিত বিভাগের মো. মিনহাজ উদ্দিন তূর্য, শোভা ইসলাম ও শিমু আক্তার এবং ফলিত গণিত বিভাগের সাইফুল ইসলাম, নাফিয়া মল্লিক ও মো. ইব্রাহিম খলিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন। স্বর্ণপদক প্রদান শেষে বিভাগ দুটির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ব র রহম ন গণ ত ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠানো হয়েছে। সেই খসড়ায় বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা যেটা পেয়েছি, এটা জুলাই জাতীয় সনদ নামে একটা খসড়া পেয়েছি। সেটা ভূমিকা, বিস্তারিত বিষয়গুলো নেই। এই খসড়ার সঙ্গে আমরা মোটামুটি একমত। কিন্তু খসড়ার কিছু বাক্য, শব্দ ও গঠনপ্রণালি নিয়ে কারও কোনো মতামত আছে কি না, তা জানতে রাজনৈতিক দলগুলোকে খসড়াটি দিয়েছে কমিশন। আমাদের যে সংশোধনী থাকবে, আমরা তা কাল জমা দেব।’
খসড়ায় যে অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিএনপি একমত বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, ‘খসড়ায় দুই বছরের ভেতরে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা একমত।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ আইনের মাধ্যমে করতে চাই। এতে আইনি ত্রুটি থাকলে সংশোধন সহজ হবে।’ তিনি বলেন, ‘কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সক্রিয় নির্বাহী বিভাগ প্রয়োজন। তবে সেই নির্বাহী বিভাগকে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মধ্যে রাখতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধানে যত বেশি যুক্ত করা হবে, সংশোধন তত বেশি জটিল হয়ে পড়বে। তাই আমরা চাই, আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হোক এবং সেই আইনে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন আনা সহজ হবে।’
নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম ধাপে প্রস্তাব করেছি, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫টি আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্বাচনে তা ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০টি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হোক। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে চাই।’
সংস্কার কমিশনের ৭০০–এর বেশি সুপারিশ সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এর মধ্যে প্রায় ৬৫০টির মতো প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে পরামর্শ বা সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব সনদে আসবে না। তবে যেগুলো মৌলিক, যেমন সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত, সেগুলো অবশ্যই গুরুত্ব পাবে।’