ফতুল্লায় মৎসজীবি দলের উদ্যোগে হরতাল বিরোধী মিছিল
Published: 19th, February 2025 GMT
দেশব্যাপী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডাকা হরতাল কর্মসূচির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এদিকে ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ হ্রদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হাসান শুভ'র নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা পঞ্চবটি মেথরখোলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পঞ্চবটি মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করেন।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান সহ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেন মৎসজীবি দলের নেতারা।
মৎসজীবি দলের নেতারা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মুখে সৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায় এবং অনেক নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।
সেখানে বসে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ইদানিং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের ফেইসবুকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আওয়ামী লীগ সহ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ হরতাল ডাক দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি অপচেষ্টা করছে।
এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে জাকির খানের কর্মীরাই যথেষ্ট। বিশেষ করে ফতুল্লায় যারা হরতালের নামে রাস্তায় নামার চেষ্টা করবে মৎসজীবি দল কঠোর ভাবে দমন করার ঘোষণা দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎসজীবি দলের দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল বেপারী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সভাপতি তারেক হাসান শুভ, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কর ম র দল র স হরত ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।