হৃদয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরি, জাকেরের লড়াকু ৬৮
Published: 20th, February 2025 GMT
৫০ ওভার দৈর্ঘ্যের একটি ইনিংস। কিন্তু খুব সহজেই তিন অধ্যায়ে ভাগ করা যায়। প্রথম অধ্যায়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়। দ্বিতীয় অধ্যায়ে তাওহিদ হৃদয়-জাকের আলীর প্রতিরোধ, সঙ্গে রেকর্ড জুটি। আর তৃতীয় অধ্যায়ে শুধুই হৃদয়। খোঁড়াতে খোঁড়াতে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ঠিক এমনই এক উত্থান-পতন আর গৌরবময় অধ্যায় দেখেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৪৯.
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে হৃদয় যতটুকু রান করেছেন, শুরুর দিকে পুরো দলই এত রান করতে পারবে কি না সংশয় ছিল। প্রথম দুই ওভারের মধ্যে ২ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৩৫ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। নবম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটসংখ্যা ৬-ও হতে পারত, যদি জাকেরের ক্যাচটা নিতে পারতেন রোহিত শর্মা।
শেষ পর্যন্ত জাকেরের ওই বেঁচে যাওয়াই বাংলাদেশকে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পথ করে দেয়। ষষ্ঠ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। যা শুধু বাংলাদেশ দলেরই ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি নয়, ভারতের বিপক্ষে যে কোনো দলের এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেই এই উইকেটে সর্বোচ্চ।
দুজনই ফিফটি তুলে নেওয়ার আগপর্যন্ত খেলেছেন রয়েসয়ে। শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে হাত খুলতে গিয়েই জাকের ফেরেন ৬৮ রান করে। তবে হৃদয় ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?