“মানুষ কিংবা দল হিসেবে আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তাই আমাদের ভুল হলে আলোচনার মাধ্যমে সমালোচনা করবেন।”

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে জামায়াতে ইসলামীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন শে‌ষে এ কথা বলেন।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, “আজ সামান্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। এতে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বায়ান্ন শেখায়, যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ। আর যেখানে সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ সেখানেই প্রতিরোধ।”

আরো পড়ুন:

আজহারের মুক্তি দাবি
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান করবে জামায়াত

আমরা খুনের ছাত্ররাজনীতি চাই না: শিবির সভাপতি 

ভাষাশহীদরা শ্রদ্ধার পাত্র। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তারা। তাদের ভুলে গেলে শহীদদের অবমাননা করা হবে উল্লেখ ক‌রে ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, “৫২-তে যারা লড়াই করেছেন তারা প্রতিষ্ঠিত সরকার ও বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। একইভাবে ২৪-এর আন্দোলনকারীদের অবদানও জাতি স্মরণ রাখবে।”

“যারা ৫২-এর আন্দোলন করেছিলেন তারা প্রতিষ্ঠিত সরকার এবং বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। একদিকে নিজের মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নিরস্ত্র মানুষ, আরেকদিকে জনগণের টাকায় কেনা সশস্ত্র, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পিছু হটেননি,” ব‌লেও মন্তব‌্য ক‌রেন তি‌নি।

জামায়াত আমির বলেন, “চব্বিশের আন্দোলনেও আমরা একজন ছোট বোনকে দেখেছি, সম্ভবত তিনি বলেছিলেন- পেছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা। আরো বলেছিলেন লড়েই যাব, মরেই যাব, মেরেই যাব। বোনটার নাম সানজিদা চৌধুরী। স্যালুট বোন তোমাকে, স্যালুট। তোমার মধ্যে বায়ান্ন এবং একাত্তরের তেজ আছে। তোমার মতো বোন ও ভাইদের অনেক প্রয়োজন।”

তরুণদের অবদান ভোলার নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এরা একেকজন এক একটি জীবন্ত ইতিহাস। এ সৌভাগ্য সবার হয় না। সেই ইতিহাসকে স্মরণ করা যেমন দায়িত্ব, তেমনি এখান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হওয়ার শিক্ষা নেওয়াও কর্তব্য।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আলোচনা সভা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো. কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে সরকারের প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে হ্যাঁ-না গণভোটের বিষয়টি জনগণকে বোঝানো বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের প্রস্তাবগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজবোধ্য করে তুলতে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার  (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মাহবুবা ফারজানা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সমন্বয় করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ৩০টি জেলায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বিভাগে একটি করে সেমিনার আয়োজন করা হবে। গুজব এবং অপতথ্য দূর করতেও তথ্য কর্মকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় কর্মকর্তাদের নির্বাচনি আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান তথ্য সচিব। 

তথ্য সচিব বলেন, গত ১৫ বছরের নির্বাচন নিয়ে জনগণের বহু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। জনগণকে নির্বাচন এবং ভোটকেন্দ্রে আসার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে হবে; বিশেষ করে তরুণ, নারী ও অনগ্রসর অঞ্চলের ভোটারদের।

সচিব বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও পেশাদারিত্বের সাথে সরকারের যোগাযোগ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাওয়ায় তথ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন।  

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • জবিতে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮১ শতাংশ
  • ‘আজ যে শিশু’ থেকে ‘ঘুম ভাঙা শহরে’: শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর সাত দশকের গল্প
  • আজ শেষ হচ্ছে কম্পিউটার সিটির মেলা
  • ভেনেজুয়েলা ছাড়তে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে: মাচাদো
  • ‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণ
  • মওলানা ভাসানী মজলুমদের পক্ষে ছিলেন, কখনো আপোষ করেননি: টুকু 
  • বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি
  • আজ মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী
  • অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যথাযথ প্রচারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ