বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। এ ছাড়া সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালক আদিবা রহমান আর সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল রোববার ঢাকার নয়াপল্টনে বিআইএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা নির্বাচিত হন।

১৯৮৮ সালে সংগঠনটি গঠন হওয়ার পর এবারই প্রথম সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। বিআইএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিআইএ জানিয়েছে, নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালের ইনস্যুরেন্সের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, সিটি ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামি লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো.

কাজীম উদ্দিন।

বিমা খাতে এমডি তথা মুখ্য নির্বাহীদের বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরাম নামে একটি সংগঠন রয়েছে, যার সদস্য মুখ্য নির্বাহীরাই। কিন্তু চেয়ারম্যানদের সংগঠন হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বিআইএর কমিটিতেও মুখ্য নির্বাহী বা সাধারণ পরিচালকেরাও এবার নির্বাচিত হয়েছেন।

জানতে চাইলে বিআইএর নতুন সহসভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীরা বিআইএর কমিটিতে এখন পর্যন্ত থাকতে পারছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এর একটি সুরাহা করা হবে।’

১৯৮৮ সালে বিআইএ গঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা ৮০, তবে ভোটার ৭৬ জন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫৩ জন সদস্য। ২০১১ সাল থেকে টানা সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন, যিনি বিমা খাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে পরিচিত। তাঁর এমন পরিচিতির কারণে বিআইএতে স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট বিআইএ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ কবির হোসেন।

শেখ কবির হোসেনের পদত্যাগের পর গত বছরের অক্টোবরে সভাপতির দায়িত্ব পান মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি ছিলেন। আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৩-২৪ মেয়াদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

মেয়াদ শেষের আগে কেন নির্বাচন, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সামনে রোজা চলে আসায় আমিই অনুরোধ করেছিলাম নির্বাচনটা যাতে আগে শেষ করা যায়। ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্বে আছি। তবে ৩৭ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন স গঠনট র ব আইএর ইসল ম আহম দ ব আইএ সদস য প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।

১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।‎

‎কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই ‎মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’

নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
  • জকসু প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ ৪২, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৩ জন
  • বাড়ল স্বর্ণের দাম, শুক্রবার থেকে কার্যকর
  • বিএনপির প্রার্থী বদল চেয়ে নারীদের ঝাড়ু মিছিল
  • টানা ১২ বছর ধরে সভাপতি, বিধি ভেঙে আবারও প্রার্থী
  • সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এইচআরসিবিএম
  • মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি ব্লাস্টের
  • সেমিনার: ১৫ বছরে গুম শিবিরের ২৫৫ জন, সাতজন ফেরেননি এখনো
  • মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
  • এ দেশে উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়: রেনাটা এমডি