টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় শিক্ষাসফরের চারটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে পাঠানো চারজন হলেন ঘাটাইল উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের মো. আয়নাল হক (৩৭), মো. ফজলুল (৪১), আয়নাল হক (৩৭) ও একই উপজেলার মালিরচালা পাহাড়িয়া পাড়া গ্রামের নাসির (৩৫)।

ডাকাতির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে আজ দুপুরে ঘাটাইল আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় একাধিক মুঠোফোন, টর্চলাইট, রামদা, হাতুড়ি, সোনার আংটি ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আয়নাল হকের বিরুদ্ধে দুটি চুরিসহ তিনটি এবং নাসিরের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতিসহ তিনটি মামলা আছে।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চারটি বাস নিয়ে গত মঙ্গলবার ভোরে নাটোরের একটি পার্কে শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদিঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় পৌঁছায় বাসগুলো। সেখানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলা থাকায় বাসগুলো থেমে যায়। পরে বাসে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে ডাকাতেরা। একপর্যায়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পাশের সাগরদিঘি তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ডাকাতেরা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা শিক্ষাসফরে নাটোর চলে যান।

আরও পড়ুনটাঙ্গাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতি: ‘গল্পে শুনলেও জীবনে প্রথমবার সেদিন ডাকাত দেখেছিলাম’২১ ঘণ্টা আগে

নাটোরে শিক্ষাসফর শেষে ঘাটাইল থানায় এসে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মামলা করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডাকাতেরা ১০টি মুঠোফোন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুণ্ঠন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ঘাটাইল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন শ ক ষ সফর র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী