মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫
Published: 3rd, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়ায় সালিশি বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফার সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ গুরুতর আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে সালিশি বৈঠকে আসা স্থানীয় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও কয়েক জন ব্যক্তি সামান্য আহত হন। এ সময় শোলাকুড়া বাজারে হামলা চালিয়ে ১৮-২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং দোকানগুলোতে লুটপাট চালানো হয়।
এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন দিকে তিন গ্রামের বাসিন্দারা অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এসময় ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।
ঢাকা/কাওছার/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন, এর পর বৃষ্টি
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন চলার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, ১৫-১৬ জুনের দিকে দিনের বেশির ভাগ সময়ই বৃষ্টি থাকবে, সপ্তাহখানেকের আগে থামার সম্ভাবনা কম। তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। কম অনুভূত হবে গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার দেশের ২৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি কিছু জায়গায় প্রশমিত হলেও পুরো দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ১৬ জুন থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ফলে তখন গরম অনেকটা কমে যাবে। এর আগ পর্যন্ত তিন দিন তাপপ্রবাহ কমবে-বাড়বে। এখন বর্ষাকাল। প্রতিদিন প্রতিটি বিভাগেই বৃষ্টির আভাস থাকে। বিভাগগুলোর সব জেলায় বৃষ্টি হয় না বা হলেও বেশিক্ষণ হয় না। তাই তাপপ্রবাহ বা গরম কমছে না।
রংপুর অফিস জানায়, তীব্র তাপদাহে পুড়ছে রংপুর অঞ্চল। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুক্রবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে কয়েক দিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে বাড়ছে রোগ।