রমজান উপলক্ষে কালীগঞ্জ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ
Published: 4th, March 2025 GMT
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল নিয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় সুলভ মূল্যে ৭০ টাকা লিটার দুধ, ২৭০ টাকা ক্যারেট ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রথম রমজান থেকে রবিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও সোমবার (৩ মার্চ) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ।
এ সময় সুলভ মূল্যে মাংস কিনতে আসা অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরে যান। তাদের অভিযোগ যে জিনিস নেই তার কথা ব্যানারে লেখা হয়েছে কেন? স্বল্প আয়ের মানুষেরা আরো দাবি করেন যে পরিমাণ দুধ ও ডিম আনা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এ সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
তিনি বলেন, “আমরা সামনের দিন থেকে মুরগীর মাংসের ব্যবস্থা করবো। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে। একজন মানুষ এক লিটার দুধ ও এক ক্যারেট ডিম কিনতে পারবে।”
ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, “বাজারে দুধ ও ডিমের দাম একটু বেশি থাকায় অনেকেই কিনতে পারছেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সূলভ মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। মানুষের সাড়া পেলে পুরো রমজান মাস জুড়েই এ কর্মসূচি চলবে। এখান থেকে সরবরাহকৃত জিনিস শতভাগ নিরাপদ। আমাদের আশা, এ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি দেখলাম ব্যানারে মাংস লেখা আছে কিন্তু মাংস বিক্রি করছে না। তারা কিছু সমস্যার কথা বললো সেটা শুনেছি। পাশাপাশি গরুর মাংসের ব্যবস্থা না করতে পারলেও যেন ব্রয়লার মুরগির ব্যবস্থা করেন সেই নির্দেশনা দিয়েছি।”
ঢাকা/রফিক/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী