টোকেন মূল্যে বৈষম্যের অভিযোগ ইবি ছাত্রদলের
Published: 10th, December 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের টোকেন মূল্যে অযৌক্তিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীনের কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নূর উদ্দিন, রাকিব হোসেন সাক্ষর, আল-আমিন, শাহরিয়ার রশিদ নিলয় প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খাবার পরিবেশনের উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টোকেন মূল্য নির্ধারণ বৈষম্যমূলক। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই কর্মসূচিতে এভাবে শিক্ষার্থীদের ভাগ করা আমাদের ঐক্যবদ্ধ পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী— আবাসিক বা অনাবাসিক সমান অধিকার ও মর্যাদার অংশীদার। ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা আবাসিক-অনাবাসিক পরিচয়ভিত্তিক মূল্য বৈষম্য সামাজিক বিভাজন তৈরি করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সংগঠনটি দুটি দাবি উপস্থাপন করে— এক.
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন বলেন, “অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা বরাদ্দ না থাকায় টোকেন মূল্যে পার্থক্য রাখা হয়েছে। তবে, শিক্ষার্থীদের দাবি এসেছে, ছাত্রদলও স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টি অন্যান্য হল প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।”
ঢাকা/ তানিম/জান্নাত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প অন ব স ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তারা
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আটজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারসহ মোট ২০ জনের একটি প্রতিনিধিদল এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিবছরই এ আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। বিজয় দিবস উদ্যাপনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর বিজয় দুর্গে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
এদিকে গতকাল রোববার থেকেই কলকাতায় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্যাপন শুরু হয়েছে। এবারের আয়োজনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল বিজয় বাইক র্যালি। র্যালিটি গুয়াহাটি, তেজপুর, শিলং, শিলিগুড়ি, মালদহ ও নবগ্রাম হয়ে কলকাতার বিজয় দুর্গে পৌঁছায়।
এই দীর্ঘ যাত্রাপথে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা আগরতলার অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল, করিমগঞ্জ মনোলিথস, কিলাপাড়া ওয়ার মেমোরিয়াল, বগরা ওয়ার মেমোরিয়াল এবং হিলি ওয়ার মেমোরিয়ালসহ বিভিন্ন যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।