হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় পুকুরপাড় ধসে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মদরিছ মিয়া তালুকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের কদমতারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মদরিছ মিয়া তালুকদার পশ্চিমভাগ গ্রামের আব্দুল শুক্কুর তালুকদারের ছেলে।
আরো পড়ুন:
দুই সংগঠনের তথ্য: গণপিটুনির ঘটনা ও নারীবিদ্বেষ বেড়েছে
কালিহাতীতে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নলীউর রহমান তালুকদার ও সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নলীউর রহমান তালুকদারের পক্ষের হারুন মিয়া ভেকু দিয়ে জমি থেকে মাটি কাটছিলেন। পরে ভেকুটি আলী আমজাদ তালুকদার পক্ষের তৌফিক মিয়ার পুকুরপাড় দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় পুকুর পাড় ধসে পড়ে। এনিয়ে পরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে যান তৌফিক মিয়ার চাচাতো ভাই মদরিছ মিয়া তালুকদার। নলীউর রহমান তালুকদারের পক্ষের কাঁচাব মিয়া তাকে ফিকল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় মদরিছ মিয়া তালুকদারকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযুক্তরা পলাতক, তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/আজহারুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত মদর ছ ম য় স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন ) দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, “কারাগারের একটি কক্ষে তিনজন বন্দি থাকতেন। তাদের মধ্যে একজন আদালতে হাজিরা দিতে যান। অন্য একজন ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সুযোগে সাইদুর রহমান সুজন নিজে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
আরো পড়ুন:
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
কারাগার সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও আইসিটিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাইদুর রহমান সুজন আত্মগোপনে ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ