রাবি উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত মাস্টাররোল কর্মচারীদের
Published: 7th, March 2025 GMT
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খানসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
পরে রাত ৮টার দিকে কর্মচারীদের একটি দল প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। উপাচার্যের আশ্বাসে তারা সোয়া ৮টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
কর্মচারীরা জানান, তারা ২০০৪ সাল থেকে মাস্টাররোলে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।
এর আগে কর্মচারীরা প্রশাসন ভবনের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভবন থেকে কাউকে বের ও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সন্ধ্যার আগে ভবন থেকে এক কর্মকর্তা বের হতে চাইলে কর্মচারীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ফটকের তালা ভাঙচুর করেন। তাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল ও ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন।
মাস্টাররোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মামুন তালুকদার বলেন, আজকে আমাদের এখানে দাঁড়ানোর কথা না। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকার যেমন আচরণ করেছিল, আমরা একই ধরনের আচরণ দেখতে পাচ্ছি।
কর্মচারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘আগামী ৯ তারিখের সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন করা হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।