অশ্বিনের চোখে ভুল ক্রিকেটারকে দেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্ট–সেরার পুরস্কার
Published: 11th, March 2025 GMT
৪ ম্যাচে ২৬৩ রান, যা টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরি করছেন ২টি, বল হাতে উইকেট ৩টি। এমন পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রাচিন রবীন্দ্র হয়েছেন টুর্নামেন্ট–সেরা। পরিসংখ্যান দারুণ, সঙ্গে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাটিং করেছেন—সব মিলিয়ে তাঁর সিরিজসেরা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা মতো কিছু ছিল না।
তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার মনে করছেন, ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীই টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়।
বরুণ টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৩টি। তাতেই ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই রহস্য স্পিনার। শুরুর দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পাওয়া বরুণ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই নেন ৫ উইকেট, এটি ছিল তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ।
আমার দৃষ্টিতে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। ও পুরো টুর্নামেন্ট খেলেনি, কিন্তু বরুণের প্রভাব ছিল বেশি।রবিচন্দ্রন অশ্বিনসেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বরুণ নেন ২ উইকেট, যার একটি আবার ট্রাভিস হেডের। এরপর ফাইনালে আবারও জ্বলে ওঠেন বরুণ। ৭.
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। ও পুরো টুর্নামেন্ট খেলেনি, কিন্তু বরুণের প্রভাব ছিল বেশি। যদি বরুণ চক্রবর্তী না থাকত, তাহলে এই ম্যাচটি সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারত। বরুণ দলের “এক্স-ফ্যাক্টর”, ওর মাধ্যমে দলে নতুনত্ব এসেছে। যদি আমি বিচারক হতাম, তাহলে আমি এই পুরস্কার বরুণকেই দিতাম। ও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
৩ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছেন বরুণউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর ণ চ ন বর ণ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।