লা লিগায় গত রোববার রাতে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে হারের পর তীব্র হয়েছিল জাবি আলোনসোর ছাঁটাই হওয়ার গুঞ্জন। বলা হচ্ছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটা দিয়েই নির্ধারিত হবে আলোনসোর ভবিষ্যৎ। সেই ভাগ্য নির্ধারনী ম্যাচেও গতকাল রাতে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২–১ গোলের এই হারের পর এখন সবার চোখ আলোনসোর চাকরি দিকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রিয়াল কি আলোনসোকে আরও সুযোগ দেবে নাকি এখানেই সম্পর্কের ইতি টানবে? রিয়ালের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু মাদ্রিদের ক্লাবটির মৌসুম যে ক্রমশ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তা বলাই যায়।

আলোনসোর রিয়াল সর্বশেষ ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জিতেছে। ব্যর্থতার এই যাত্রায় সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটি ঘটেছে তা হলো, আলোনসো কোচিংয়ে তাঁর নিজস্ব দর্শন ভুলে গিয়েছেন।

আরও পড়ুনরিয়াল ও আলোনসোর দুর্দশা বাড়িয়ে বার্নাব্যুতে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি৫ ঘণ্টা আগে

গতকাল কথিত বাঁচা–মরার ম্যাচে সেই দর্শনটাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টাই যেন করলেন তিনি। চোটাক্রান্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের জায়গায় নামালেন গনসালো গার্সিয়াকে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে গনসালো আলোনসোর বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ফেদেরিকো ভালভের্দেকে খেলালেন রাইট–ব্যাক হিসেবে, যদিও এ ভূমিকায় তিনি স্বচ্ছন্দ নন।

এরপর মিডফিল্ডে জায়গা পেলেন দানি সেবায়োস, আর তাই আরদা গুলেরকে বসে থাকতে হলো বেঞ্চে। উইংয়ে আলোনসো ভরসা রাখলেন ৩২ ম্যাচ ধরে গোলখরায় ভুগতে থাকা রদ্রিগোর ওপর। তবে রদ্রিগো গোল করে শেষ পর্যন্ত খরা দূর করেছেন।

সময়টা ভালো যাচ্ছে না আলোনসোর.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল কুষ্টিয়ার যেসব স্থান

আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে স্মরণীয় এক মুহূর্ত। এ দিন মুক্ত হয় জেলার মিরপুর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা। মুক্তিকামী জনতা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে বিজয় আনন্দে মেতে ওঠেন।

মিরপুর: ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ভোরে ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এরপর ৬৫ জন পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ও রাজাকার পাহাড়পুর মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে আত্মসমর্পন করে। মিরপুর হানাদার মুক্ত হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠি পাক হানাদার মুক্ত দিবস আজ 

আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস

দৌলতপুর মুক্ত দিবস: ১৯৭১ সালের এই দিন থানা চত্বরে বিজয় পতাকা উড়ানোর মধ্য দিয়ে দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। 

দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখসহ ছোট-বড় ১৬টি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। এসব যুদ্ধে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক’শ নারী-পুরুষ শহীদ হন।

সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংঘঠিত হয় উপজেলার ধর্মদহ ব্যাংগাড়ী মাঠে। এ যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩০০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। শহীদ হন তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সদস্য। 

৮ ডিসেম্বর সকালে আল্লারদর্গা এলাকায় পাক সেনাদের গুলিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক শহীদ হন। এরপর দৌলতপুর হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী।

ভেড়ামারা মুক্ত দিবস: মিত্র বাহিনীর সহায়তায় আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাকে শত্রু মুক্ত করেন।

এই দিন ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর আবুল মুনছুরের নেতৃত্বে জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোর ৭টার দিকে ভেড়ামারা ফারাকপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টার এই যুদ্ধে আটজন পাকসেনা নিহত হয়। যুদ্ধের পরপরই মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে প্রায় ৫০/৬০ জন বিহারী নিহত হন। 

এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর অন্য সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তারা সন্ধ্যার আগেই ভেড়ামারা থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে পালিয়ে যায়। এই দিন রাতে মুক্তিপাগল মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ভেড়ামারায় প্রবেশ করতে থাকেন। তখন তারা বিজয়ের আনন্দে রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে থাকেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
  • ভালোবাসা দিয়ে পথ দেখালে তরুণেরা পথ হারাবে না
  • নির্বাচন করব, পদত্যাগের বিষয়ে যথাসময়ে জানবেন: আসিফ মাহমুদ
  • নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘিরে তরুণকে খুন করে দেহ টুকরা টুকরা করলেন বন্ধু
  • কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
  • মন্দির নির্মাণে ১৩৬ কোটি টাকা দান, অভিনেত্রীর আধ্যাত্মিক জীবন
  • বাজারে এসেছে নতুন আলু, দাম কত
  • মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের জামিন আবারও নামঞ্জুর
  • এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল কুষ্টিয়ার যেসব স্থান