হত্যার পর ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা হয় মরদেহ
Published: 13th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরীর উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় টুটুল আহমেদ (২৭) নামের এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালককে হত্যার পর ধান ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দাপুনিয়া এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত টুটুল আহমেদ গাজীপুর জেলার ভবানীপুর মনিপুর গ্রামের আইনুল আলীর ছেলে। বতর্মানে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ীতে বসবাস করছিলেন। দাম্পত্য জীবনে টুটুল দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানের জনক।
নিহতের শশুরবাড়ির স্বজনরা জানান, গতরাতে ইফতারের পর বাজারে যাবার কথা বলে টুটুল বাড়ি থেকে তার অটোরিকশাটি নিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর সে আর রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে জানতে পারেন টুটুল খুন হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো.
ঢাকা/মিলন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গামছা পরে ঘুমিয়ে থাকার কারণ জানালেন সমু চৌধুরী
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীর কয়েকটি স্থিরচিত্র। তাতে দেখা যায়, গামছা পরিহিত অবস্থায় একটি গাছের নিচে ঘুমিয়ে আছেন সমু চৌধুরী। পরে জানা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের কাছে এ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন তিনি।
সমু চৌধুরীর এসব ছবি ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন। কেউ কেউ দাবি করেন— মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন সমু চৌধুরী। তবে এ অভিনেতার দাবি, তিনি সুস্থ আছেন। পাশাপাশি গামছা পরে ঘুমিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন এই প্রবীণ নাট্যকার-অভিনেতা।
সমু চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি ভোরবেলা নামাজ পড়ে, নদীতে গোসল করে ওখানে ঘুমিয়েছিলাম। আমি এক কাপড়ে এখানে এসেছি।”
আরো পড়ুন:
ঈদের ষষ্ঠ দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম
শতাধিক দেশ থেকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখছেন দর্শক
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারে যাওয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে সমু চৌধুরী বলেন, “আমি যশোরে ছিলাম, যশোর থেকে ফিরে আসার পরই হঠাৎ ছোট ভাইরা বলছিল, মিসকিন শাহে যাবেন নাকি! আমি বললাম, এটা কোথায়? পরে মনে পড়ল, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তারপর আমি তাদের সঙ্গে আসি।”
“সারাদিন আড্ডা মেরেছি, এখানকার যে কুতুবরা আছেন, যারা খাদেম আছেন, যারা পাগল আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আড্ডা দিয়েছি। আমার জীবনের সঙ্গে, তাদের জীবনের মিল খুঁজছি, নাটক খুঁজছি।” বলেন সমু চৌধুরী।
ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমু চৌধুরী বলেন, “আমি বুঝলাম না এতে তোদের কী? তোরা আউলিয়া বুঝিস না, পাগল বুঝিস না, একটা ছবি তুলে দিয়ে দিলি, এটা তো ভাইরাল হয়ে গেছে।”
সমু চৌধুরীর বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই। এ তথ্য জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমার বন্ধুরা যারা ছবিটি দেখেছে। এটা তো তাদের কলিজায় লেগে যায়। কেউ গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছে। শিল্পী সংঘ থেকে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে, দাদা তুমি ওখানে থাকো। শান্তিদি আমাকে ফোন দিয়ে বলছে, তুমি ওখানে থাকো; আমি গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছি। তুমি ওখান থেকে নড়বা না, আমি বললাম তোরা কী শুরু করেছিস? আমার স্বাধীনতা নাই? আমার বয়স ৬১। আমার বাবা, ভাই, বোন কেউ নাই, আমার একমাত্র মা আছে।”
ঢাকা/শান্ত