Risingbd:
2025-12-13@19:13:33 GMT

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

Published: 15th, March 2025 GMT

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

রমজানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগ, ব্যাচ, জেলা সংগঠন, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দলবদ্ধ ইফতার আয়োজন ভিন্নরকম এক আমেজ সৃষ্টি করে। বড় পরিসরে আয়োজিত গণইফতারও চোখে পড়ার মতো। মিলেমিশে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধন।

গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) গণইফতারের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাবি শাখা। এছাড়া রবিবার (১৬ মার্চ) গণইফতারের ঘোষণা দিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।

তবে রমজানের আমেজ ছড়িয়ে দিতে জাবি শাখা ছাত্রদলও ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল’ শিরোনামে আয়োজন করছে হচ্ছে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

আরো পড়ুন:

পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জাবি শিক্ষার্থীর

লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে ছেলেদের ১১টি, মেয়েদের ১০টি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, আল বেরুনী হল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ মোট ৮টি হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ছাত্রী হলগুলোর সম্মিলিতভাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে বাকী হলগুলোতেও পর্যায়ক্রমে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পবিত্র রমজান মাসে মিলেমিশে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে হলের সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে বসে ইফতার করার ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। জাবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি ধারা তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “ছাত্রদলের জাবি শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রত্যেকটি হলে ধারাবাহিক ইফতর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা আটটি ছেলেদের হলে ইফতার আয়োজন সম্পন্ন করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক আরো উন্নয়নের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারে অংশগ্রহণ করেছে। বাকি হলগুলোর ইফতার আমরা ২০ রমজানের মধ্যে সম্পন্ন করবো। এছাড়াও আমরা নারী শিক্ষার্থীদের সন্মানে আগামীকাল রবিবার ইফতারের আয়োজন করতে যাচ্ছি।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র গণইফত র ইফত র র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২২টি যুদ্ধের পর শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া

আজ ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম, ২২টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর অসংখ্য নীরব ত্যাগের মধ্যদিয়ে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের কুষ্টিয়া থেকে বিতাড়িত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কালেক্টরেট চত্বরে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। 

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই কুষ্টিয়া ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম দিকে এখানে ইপিআর, পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ মিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইল শত্রুমুক্ত হয় ১১ ডিসেম্বর

৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় মাদারীপুর

কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রতিরোধে যোগ দেন, যা পরবর্তীতে সুসংগঠিত মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীতে রূপ নেয়। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস জুড়ে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে গেরিলা হামলা, সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় চূড়ান্ত মুক্তির পথ।

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ১৬ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ২২টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, খোকসা, কুমারখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর সুসজ্জিত ঘাঁটির বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই চালান। পাকবাহিনীর ক্যাম্প, ব্রিজ, সড়ক ও রসদ সরবরাহ লাইনে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়। প্রতিটি যুদ্ধে বহু মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ শহীদ হন। পাকিস্তানি বাহিনীরও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। তারা কুষ্টিয়ায় অবস্থান টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের প্রবেশমুখ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনার আশপাশে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী পাক সেনাদের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। ভোর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গোলাগুলি, মর্টার শেল ও ভারী অস্ত্রের প্রচণ্ড গর্জনে পুরো শহর কেঁপে ওঠে। কৌশলগত স্থানে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে দেন। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পিছু হটতে ও আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। তাদের অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায়। ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং দিনটিকেই ‘কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

১১ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত কুষ্টিয়া শহরের কালেক্টরেট চত্বরে তৎকালীন রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় প্রাদেশিক পরিষদের জোনাল চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান। এই পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই প্রতীকীভাবে স্বাধীন কুষ্টিয়ার জন্ম এবং মুক্তাঞ্চল হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালুর সূচনা ঘটে। ।

প্রতি বছরের মতো এবারো কুষ্টিয়া মুক্তদিবস উপলক্ষে কালেক্টরেট চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত, র‌্যালি পরবর্তী শহীদ স্মৃতিস্মম্ভ চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিবসটি উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। শহীদ পরিবার ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে যুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরছেন। 

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সব কার্যক্রম স্থগিত
  • পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাবির জাতীয় বিতর্ক উৎসব 
  • ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ
  • রিয়ালের ৪ তারকা ফুটবলার নিষিদ্ধ
  • ২২টি যুদ্ধের পর শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া