Risingbd:
2025-11-03@13:55:22 GMT

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

Published: 15th, March 2025 GMT

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

রমজানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগ, ব্যাচ, জেলা সংগঠন, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দলবদ্ধ ইফতার আয়োজন ভিন্নরকম এক আমেজ সৃষ্টি করে। বড় পরিসরে আয়োজিত গণইফতারও চোখে পড়ার মতো। মিলেমিশে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধন।

গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) গণইফতারের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাবি শাখা। এছাড়া রবিবার (১৬ মার্চ) গণইফতারের ঘোষণা দিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।

তবে রমজানের আমেজ ছড়িয়ে দিতে জাবি শাখা ছাত্রদলও ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল’ শিরোনামে আয়োজন করছে হচ্ছে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

আরো পড়ুন:

পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জাবি শিক্ষার্থীর

লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে ছেলেদের ১১টি, মেয়েদের ১০টি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, আল বেরুনী হল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ মোট ৮টি হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ছাত্রী হলগুলোর সম্মিলিতভাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে বাকী হলগুলোতেও পর্যায়ক্রমে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পবিত্র রমজান মাসে মিলেমিশে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে হলের সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে বসে ইফতার করার ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। জাবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি ধারা তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “ছাত্রদলের জাবি শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রত্যেকটি হলে ধারাবাহিক ইফতর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা আটটি ছেলেদের হলে ইফতার আয়োজন সম্পন্ন করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক আরো উন্নয়নের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারে অংশগ্রহণ করেছে। বাকি হলগুলোর ইফতার আমরা ২০ রমজানের মধ্যে সম্পন্ন করবো। এছাড়াও আমরা নারী শিক্ষার্থীদের সন্মানে আগামীকাল রবিবার ইফতারের আয়োজন করতে যাচ্ছি।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র গণইফত র ইফত র র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি

বিগত শতকের ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫, এই দুই দশক ছিল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের খুবই তাৎপর্যময় ঘটনাবহুল সময়। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এই কালপর্বে সমাজতন্ত্রের পতনসহ এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা মানুষের বিশ্বাস, আদর্শ, চিন্তা, অভিব্যক্তি ও জীবনাচরণে নানাভাবে প্রভাব রেখেছে। শিল্পীদের ভাবনায় সমকাল কেমনভাবে তার সৃজনকলায় উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার একঝলক দেখে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হলো কলাকেন্দ্রে।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে লালমাটিয়ার ডি ব্লকের ৯/৪ নম্বর বাড়ির কলাকেন্দ্রে শুরু হলো ‘ফিরে দেখা’ নামে ১৪ শিল্পীর যৌথ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।

এই প্রদর্শনীতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ পর্বে যাঁরা চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা পরবর্তীকালে ‘ঢাকা পেইন্টার্স’, ‘সময় গ্রুপ’সহ বেশ কিছু গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকেই কাজী রাকিব, দীপা হক, ঢালী আল মামুন, দিলারা বেগম জলি, নিসার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য, সাইদুল হক জুইস, ফারেহা জেবা, রতন মজুমদার, হাবিবুর রহমান, রুহুল আমিন কাজল, লালা রুখ সেলিম, তৌফিকুর রহমান ও ওয়াকিলুর রহমানের প্রায় ৬০টি শিল্পকর্ম নিয়ে এই ‘ফিরে দেখা’ প্রদর্শনী।

শিল্পীরা মূলত আশি ও নব্বই দশকে যেসব কাজ করেছিলেন, তার কিছু কিছু নমুনা রয়েছে এখানে। অধিকাংশ কাজই শিল্পীদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের। ছাপচিত্র, জলরং, ড্রয়িং, মিশ্রমাধ্যম, অ্যাক্রিলিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমের চিত্রকলা ও ভাস্কর্য রয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।

কলাকেন্দ্রের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচলিত অর্থে কোনো প্রধান বা বিশেষ অতিথি থাকেন না। প্রদর্শনীর কাজ নিয়ে এক বা একাধিক আলোচক আলোচনা করেন। সূচনা বক্তব্যে কলাকেন্দ্রের পরিচালক শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা–পরবর্তীকালে দুই দশকজুড়ে সমাজ ও সমকালীন ভাবনা ও মনোভাব শিল্পীদের কাজে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছিল, তার একটি খণ্ডচিত্র এই প্রদর্শনীতে পাওয়া যাবে।

‘ফিরে দেখা’ প্রদর্শনীটির মূল আলোচক ছিলেন অধ্যাপক আবুল মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিগত সময়ের শিল্পীদের কাজ দেখা ও পর্যালোচনার সুযোগ কম। সরকারিভাবেও তেমন উদ্যোগ নেই। ফলে নতুন প্রজন্ম বিগত শিল্পীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে জানতেই পারে না। দেশের ইতিহাসে ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ এক বিশেষ অধ্যায়। এ সময় রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের প্রভাব শিল্পকলায় প্রতিফলিত হয়েছিল। সে সময়ের তরুণ শিল্পীরা বৈশ্বিক ও স্থানীয় পরিবর্তন, ইতিহাস ঐতিহ্য, আপন সংস্কৃতিকে তাঁদের নিজেদের মতো করে ধারণ করেছিলেন। তাঁরা যে শিল্পভাষা, ভাবনা, উপকরণ, উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছিলেন, পরবর্তীকালে তা আমাদের চিত্রকলায় এক নতুন গতিমুখ তৈরি করেছে। সেই তরুণদের অনেকেই তাঁদের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। নিজের কাজে অনেক পরিণত হয়েছেন। খ্যাতি অর্জন করে বর্তমানে দেশের অন্যতম শিল্পী হয়ে উঠেছেন। পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের নানাভাবে পথ দেখিয়েছেন।’

শিল্পের আয়নায় অতীতকে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা এই প্রদর্শনীতে এলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবিতে খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু: ৩ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনের ব
  • খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা, অনলাইন ও অফলাইনে আবেদন ফি ১০০০
  • অ্যাপে পরিচয়-প্রেম, বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলেন চীনের যুবক
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি