নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ
Published: 16th, March 2025 GMT
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ওই পথের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা চৌরঙ্গী মোড়ের চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই সরকারের কাজ হলো দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ফিরে যাওয়া। তারা সেটি না করে নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজটি নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নীলফামারীর জনগণ এটা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।
নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধের আলোচনা চলছে। যেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নীলফামারী মেডিকেল কলেজ কোনোভাবেই মানহীন তালিকায় আসতে পারে না।’
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেদিন থেকে নীলফামারী জেলা ব্লকেড ঘোষণা করে অচল করে দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষড়যন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জবি শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
এতে ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই কার্যদিবসের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন।
আরো পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১ বছরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রশাসন আমরা এনেছি। কিন্তু যদি তারা আমাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, আমরা তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হবো। হচ্ছে, হবে, প্রসেসিংয়ে আছে—এ ধরনের কথা আর মেনে নেওয়া হবে না।
ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “কোনো অছাত্র বা বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। ছাত্রত্ব যাদের আছে, তারাই নির্বাচনে অংশ নেবে। পাশাপাশি দ্রুত আবাসন ভাতা প্রদানেরও ব্যবস্থা করতে হবে।”
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি প্রশাসন। আমাদের এই প্রশাসন কাজ করতে না পারলে তাদের চলে যেতে হবে।”
আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনের পর ভেবেছিলাম আলাদা করে কিছু চাইতে হবে না। কিন্তু সেই আদায় করা দাবি আজো বাস্তবায়িত হয়নি। ১ বছর পেরিয়েও শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারেনি। দাবি পূরণে পদক্ষেপ না নিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।”
ছাত্র অধিকার শাখার সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম এই প্রশাসন দ্রুত জকসুসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু গত ১ বছরে তারা কেবল জকসু নীতিমালাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পেরেছে। নীতিমালা অনুবাদ করতেই এক বছর লেগেছে; তাহলে নির্বাচনের আয়োজন করতে কত সময় লাগবে?”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। তা না হলে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হবে, যা মোকাবিলা করা প্রশাসনের পক্ষে কঠিন হবে।”
ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ প্রমুখ।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী