জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ ছাড়াই টিকে থাকার জন্য লড়তে হচ্ছে গাজার ১০ লাখ শিশুকে।

গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ থেকে ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক এডুয়ার্ড বেগবেদার এক ভিডিও পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেগবেদার বলেছেন, শিশুদের জীবন বাঁচাতে অন্তত কিছু পানি ওবিদ্যুৎ ছিটমহলে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া ‘জরুরি।’

তিনি বলেছেন, “গাজার ১০ লাখ শিশু মৌলিক উপকরণ ছাড়াই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। লাখ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশনের অভাব বোধ করছে। পানি মানুষের একটি মৌলিক অধিকার যা কাউকেই বঞ্চিত করা উচিত নয়। ইউনিসেফ এবং তার সহযোগীরা জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহের জন্য কাজ করছে, কিন্তু কেবলমাত্র একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবাধ প্রবেশাধিকারই সত্যিকার অর্থে জীবন বাঁচাতে পারে।”

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মানবিক ত্রাণের উপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে খাদ্য, পানীয় জল এবং রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অদৃশ্য হয়ে গেছে গাজায়। এরফলে গাজার জীবন রক্ষাকারী দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পহেলা মার্চ ইসরায়েল ও হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এর আগেই গাজা অবরুদ্ধ করে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’

ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড্রোন ও উড়ুক্কু যানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চীনের
  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী