ঢাকায় ‘ডিবি হেফাজতে’ যুবকের মৃত্যুতে এমএসএফের উদ্বেগ
Published: 17th, March 2025 GMT
ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে এর নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ বলেছে, গত শনিবার হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই এজাজের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।
বিজপ্তিতে এজাজের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, তিনি (তালেবুর রহমান) বলেছেন, এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যাননি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। এর পর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন। শনিবার ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।
এমএসএফ মনে করে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি রাখে, কারণ রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব।
এমন অবস্থায় এজাজের মৃত্যু নিয়ে পরিবার থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ শ্রীলঙ্কার
‘আমাদের লর্ডসে থাকার কথা ছিল। আর আমরা এখন কোথায়।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে গলে টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চক্র শুরুর আগে সতীর্থদের এই কথাই বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চক্রে শ্রীলঙ্কা ছয়ে থেকে শেষ করেছে। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ছিল তারা। সমীকরণ ছিল কঠিন। যার ধারে কাছে যেতে পারেনি লঙ্কানরা।
গত চক্রের শেষ ধাপে শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে খেলেছে দুই টেস্ট। ওই চার টেস্টের তিনটিতে জিততে পারলেই ফাইনালে যেতে পারত তারা। অজিদের হারাতে ঘরে স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়েও লাভ করতে পারেনি লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ রাখছেন বলে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক সিলভা, ‘আমাদের ফাইনালে খেলার ভালো সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা পারিনি। নতুন চক্রে আমরা জানি, ঘরের মাঠে সিরিজগুলো জিততে হবে। আমরা ঘরে সম্ভাব্য সব পয়েন্ট তুলতে চাই। ঘরে সিরিজ শুরু করার এটা দারুণ সুযোগ।’
তবে নতুন চক্রে লঙ্কানদের জন্য চ্যালেঞ্জও আছে। দিমুথ করুনারত্নে অবসর নিয়েছেন। অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস গল টেস্ট দিয়ে অবসর নেবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কোন টেস্ট না খেলা ছয় ক্রিকেটার ডাক পেয়েছেন। ডি সিলভা অবশ্য তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড়ও বেরিয়েছে। তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’