দুই ঘণ্টা পর ফার্মগেটের সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল শুরু
Published: 11th, December 2025 GMT
রাজধানীর ফার্মগেটের সড়ক থেকে সরে গেছেন তেজগাঁও কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়েন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার (১৮) মৃত্যুর জেরে আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে অবরোধসহ বিক্ষোভ শুরু হয়।
অবরোধ-বিক্ষোভে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী-চালকেরা।
ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা বের হন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। এ বিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান সকালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীরা প্রথমে কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা ফার্মগেট মোড় এলাকার সড়ক অবরোধ করেন, বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি বলেন, কয়েক শ শিক্ষার্থী সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মোড়সহ সংশ্লিষ্ট সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা নানা স্লোগান দেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
তেজগাঁও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে এই অবরোধ-বিক্ষোভ হয়। সড়কে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল—তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিল, মানববন্ধন। সাকিব হত্যার বিচার দাবি।
আরও পড়ুনসংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট১ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভে অংশ নেওয়া তেজগাঁও কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সহপাঠীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে রায়হান ইসলাম বলেন, যাঁরা মেরেছেন, তাঁরা তাঁদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারে ফাঁসি দিতে হবে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাকিবুল হত্যায় মামলা হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। পরে যানচলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুনতেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র মগ ট ও কল জ র প রথম অবর ধ চল চল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পাশাপাশি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ বুধবার রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সদ্য যোগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) উদ্দেশে কমিশনার বলেন, নতুন ওসিদের সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার অপরাধচিত্র ও পরিস্থিতি ভালো করে বুঝে নিতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অভ্যাসগত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার বলেন, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি থানায় টহল কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। তিনি টহলকাজে সরকারি মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহার করার তাগিদও দেন।
নতুন ডিসি (উপকমিশনার) এবং ওসিদের প্রতিটি থানা এলাকার অপরাধের নিজস্ব ধরন অনুযায়ী কাজ করতে বলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্টের বিষয়ে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগে পরিচয়পত্র যাচাই এবং অপরিচিতদের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং প্রকিউরমেন্ট) হাসান শওকত আলী, যুগ্ম কমিশনার, উপকমিশনার, ডিএমপির সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।