মধ্যরাতে মিছিল করে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রলীগের চার কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 18th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম শহর থেকে গিয়ে পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার মধ্যবর্তী শিকলবাহা ভেল্লাপাড়া সেতু এলাকায় মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত রোববার রাত পৌনে তিনটার দিকে তিন থেকে চার মিনিটের এ মিছিল করে দ্রুত চলে যান তাঁরা। পরে তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করা মিছিলের ভিডিও ফুটেজ দেখে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কর্মীরা হলেন খুলশী থানা এলাকার মো.
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত পৌনে তিনটার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিকলবাহা ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পরে তাঁরা মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ওই সব ভিডিও দেখে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পটিয়া উপজেলার শান্তির হাট এলাকার জে কে রাজু নামের একজনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাঁরা নগর থেকে এসে এ মিছিল করেন বলে জানা যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় নাশকতার পাশাপাশি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে চট্টগ্রাম শহর থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ে মিছিল করে ভিডিও ছড়িয়ে দেন তাঁরা। ওই ভিডিও দেখে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম ছ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৪), মো. শিশু মিয়া (৫৫), মো. শাহপরান (২৪), মো. ইমন (২৫), মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল আল মামুনসহ (২৩) ২০ জন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২৫
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরদাবাদ গ্রামের সালাউদ্দিন ও শিপন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঈদের পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিরোধ মীমাংসায় আজ সকালে গ্রামে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ সদস্যরা। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ