কলম্বিয়ার বিপক্ষে কেমন হতে পারে ব্রাজিলের একাদশ
Published: 20th, March 2025 GMT
দরিভাল জুনিয়র ব্রাজিল জাতীয় দলের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে যেভাবে আশা দিয়েছিলেন তার প্রতিফলন পরে পাওয়া যায়নি। দলটি দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাঁচে আছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬.৪৫ মিনিটে ঘরের মাঠে জয় লক্ষ্য ধরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে নামবে সেলেসাওরা।
নেইমার ১৭ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেও ইনজুরি নিয়ে পুনরায় মাঠের বাইরে চলে গেছেন। এর বাইরে ব্রাজিল কোচ দরিভাল মোটামুটি সেরা দলটাই পাচ্ছেন। কেবল এদের মিলিতাও ও দানিলো ইনজুরিতে আছেন। এর মধ্যে মিলিতাওয়ের জায়গা পূরণে গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস ভালো মতোই প্রস্তুত। তার সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মার্কুইনোস।
ব্রাজিল ম্যানেজমেন্টের চিন্তায় ৩৩ বছর বয়সী দানিলোর বিকল্প তৈরির চিন্তা আছে। ভ্যান্ডারসনের জন্য জায়গা পাকা করার ভালো সুযোগ কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা ম্যাচ। সর্বশেষ ম্যাচে মোনাকোর তরুণ রাইট ব্যাক ভালো ফুটবলও খেলেছেন। তবে লেফট ব্যাকে ব্রাজিলের সমস্যা রয়েই যাচ্ছে। গিহার্মে অ্যারেনা এখনো ঠিক মন জয় করতে পারেননি। আবনার এবং ওয়েনডেলও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
ব্রাজিলের মাঝমাঠের ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন ব্রুনো গিমারেজ। সম্প্রতি কারাবাও কাপ জিতেছেন নিউক্যাসল অধিনায়ক। তার সঙ্গে জেরসনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড সামলানোর দায়িত্ব পড়তে পারে। যদিও জোয়েলিনটন একাদশে ঢোকার লড়াইয়ে থাকবেন।
চার অ্যাটাকার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল। লেফট ব্যাকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে রেখে রাইট ব্যাকে ফেরানো হতে পারে রাফিনিয়াকে। যদিও সর্বশেষ ম্যাচে নাম্বার টেনের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। রদ্রিগো গোয়েসকে এবার দেওয়া হতে পারে ওই দায়িত্ব। স্ট্রাইকার পজিশনে খেলানো হতে পারে উলভসের ম্যাথিউস কুনিয়াকে। ক্যারিয়ার সেরা ছন্দে আছেন তিনি।
ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ: অ্যালিসন, ভ্যান্ডারসন, মার্কুইনোস, গ্যাব্রিয়েল মাঘালহায়েস, গিহার্মে অ্যারানা, জেরসন, ব্রুনো গিমারেজ, রদ্রিগো, ভিনিসিয়াস, রাফিনিয়া,, ম্যাথিউস কুনিয়া।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।